Coronavirus in India

কেবল মাঝারি বা তীব্র উপসর্গেই হাসপাতালে ভর্তি, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ রাজ্য সরকারের

শনিবার ইয়েদুরাপ্পা সরকারের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার রোগীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক বেঙ্গালুরুতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ১১:৩৪
Share:

— ফাইল চিত্র

বেঙ্গালুরুতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এ বার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট গণ্ডি বেঁধে দিল কর্নাটক সরকার। শহরের হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাঝারি এবং তীব্র উপসর্গ রয়েছে এক মাত্র এমন করোনা রোগীকেই ভর্তি করা যাবে। এ ছাড়া বাকিদের সেফ হাউস অথবা হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য রেফার করতে বলা হয়েছে। শহরের হাসপাতালগুলিতে যে শয্যা সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম তা মেনে নিয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী আর অশোকও।

Advertisement

শনিবার ইয়েদুরাপ্পা সরকারের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, “যে সব করোনা রোগীর মাঝারি এবং তীব্র উপসর্গ রয়েছে তাঁরা কখনও কখনও ভর্তি হতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে মাঝারি অথবা তীব্র ভাবে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাই বিচক্ষণের কাজ হবে। সরকারি এবং বেসরকারি দুই হাসপাতালকেই বলা হচ্ছে, তারা যেন উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের কোভিড কেয়ার সেন্টার অথবা হোম আইসোলেশনে থাকতে বলেন।’’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রবিবার কর্নাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৯ হাজার ৬৫২। এর অর্ধেকের কাছাকাছি করোনা রোগী রয়েছে শুধু মাত্র বেঙ্গালুরুতেই। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গত ১৪ জুলাই থেকে বেঙ্গালুরু শহর এবং গ্রামীণ জেলায় লকডাউনও শুরু হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণই, বলছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

বেঙ্গালুরুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কয়েক ধাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে জায়গা পাওয়া নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলি মোট ৫ হাজার শয্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও হয়ে ওঠেনি বলে কর্নাটক সরকার সূত্রে খবর। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। সে রাজ্যের মন্ত্রী আর অশোক বলছেন, ‘‘আমরা আইসিইউ এবং অক্সিজেনের সুবিধা যুক্ত শয্যা বাড়ানোর কথা বলেছি। আমরা সব মেডিক্যাল কলেজে কোভিড ওয়ার্ড তৈরির কথাও বলেছি। বেসরকারি হাসপাতালগুলি ৫ হাজার শয্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা এখনও তৈরি হয়নি।’

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত প্রায় ৩৯ হাজার, মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমণ তিন লক্ষ ছাড়াল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement