অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
ফের হাসপাতালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য শনিবার রাতে তাঁকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এ ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও এমসের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড পরবর্তী শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্থিতিশীল রয়েছেন অমিত।
সপ্তাহ দু’য়েক আগে এমস থেকেই ছাড়া পেয়েছিলেন অমিত। কোভিড পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সেখানে ভর্তি ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গত কাল রাত ১১টা নাগাদ তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এর পর রাতেই অমিতকে এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ দিন সকালে এমসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড চিকিৎসার পর গত ৩০ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নয়াদিল্লির এমস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময়কার পরামর্শ অনুযায়ী, সংসদের অধিবেশনের আগে পুরোপুরি মেডিক্যাল চেকআপের করাতে তাঁকে এক-দু’দিনের জন্য এখানে ভর্তি করানো হয়েছে।’’ এমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহের এমসে ভর্তির পর তাঁর সুস্থতা কামনা করে একাধিক বিজেপি নেতা-নেত্রী। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান টুইটার লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রুগ্ন স্বাস্থ্যের কথা জানতে পারলাম। ঈশ্বরের কাছে তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করি।’’ অমিতের দ্রুত আরোগ্য করে টুইট করেছেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াও। এ দিন বসুন্ধরার টুইট, ‘‘ঈশ্বরের কাছে তাঁর (অমিত শাহ) দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’
আরও পড়ুন: আক্রান্ত লক্ষের দোরে, অনুমতি মিললে ভারতে পরীক্ষায় তৈরি সিরাম
গত ২ অগস্ট করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর জানিয়ে টুইট করেছিলেন অমিত শাহ। এর পর গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সেখান চিকিৎসার পর ১৪ অগস্ট টুইটারে অমিত জানান, তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে সে সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও নিজের বাসভবনে আইসোলেশনে ছিলেন অমিত। যদি এর চার দিন পরেই ফের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথার সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন অমিত। ১৮ অগস্ট কোভিড পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাঁকে এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের টিকা কি হার মানবে লেকটাউনের সুমির উদ্ভাবনের কাছে?
৫৫ বছরের অমিতের ডায়াবিটিস থাকায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকেরা। এর ১৩ দিন পর এমসের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩০ অগস্ট এমস থেকে ছাড়া পান তিনি। তবে গত রাতে ফের তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।