Coronavirus in India

মুখে মুখ রেখে শ্বাস দিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা মহিলার, করোনার করুণ ছবি আগরায়

অটোর মধ্যেই স্বামীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। নিরুপায় হয়ে স্বামীকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করেন রেণু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৭:১০
Share:

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রেণুর এই মরিয়া প্রচেষ্টাই আপাতত নেটমাধ্যমে ভাইরাল। ছবি: সংগৃহীত।

করোনা আক্রান্ত স্বামীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হতেই তাঁকে নিয়ে অটোতে করে হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিলেন আগরার রেনু সিঙ্ঘল। তবে অটোর মধ্যেই স্বামীর শ্বাসকষ্ট আরও বাড়তে থাকে। নিরুপায় হয়ে স্বামীকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করেন রেণু। স্বামীর মুখে মুখ দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে তাঁকে শ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার হাসপাতালের বাইরে রেণুর কোলে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন তাঁর স্বামী রবি সিঙ্ঘল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রেণুর এই মরিয়া প্রচেষ্টাই আপাতত নেটমাধ্যমে ভাইরাল। গোটা ঘটনায় ফের এক বার ফুটে উঠছে দেশের কোভিড রোগীদের করুণ দশার ছবি।

পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের আবাস বিকাশ সেক্টর ৭-এর বাসিন্দা রবি সিঙ্ঘলের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছিলেন রেণু। অটোতে করে তড়িঘড়ি পৌঁছতে চেয়েছিলেন সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে সেই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর আগেই রবির শ্বাসকষ্টের সমস্যা গুরুতর হয়ে শুরু করে। স্বামীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে এর পর অটোর মধ্যেই তাঁকে কৃত্রিম উপায় বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন রেণু। তবে শেষমেশ রবিকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। ঘটনার পর রীতিমতো বিহ্বল রেণুর ছবিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গোটা ঘটনায় দিল্লি, আগরা-সহ দেশের অসংখ্য হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ভয়াবহ দৃশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হয়েছে হাসপাতালগুলিতে। অপ্রতুল হয়ে পড়েছে কোভিড রোগীদের বেড। এই আবহে দেশের দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে নতুন করে ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে মৃ্ত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১২ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা (৮৩২)। তার পরেই রয়েছে দিল্লি (৩৫০)। সব মিলিয়ে দেশের কোভিড পরিস্থিতির চরম শোচনীয় অবস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement