Coronavirus

ছ’মাসে সর্বনিম্ন সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যুও

পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে দিল্লিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৫ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র

দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছ’মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হল ভারতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৭৩২ জন সংক্রমিত হয়েছেন, পয়লা জুলাইয়ের পরে যা সবচেয়ে কম। মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। ইতিমধ্যেই করোনার যে নতুন ‘স্ট্রেন’ পাওয়া গিয়েছে তা চিহ্নিত করা ও সংক্রমণ আটকানোর কৌশল নিয়ে শনিবার আলোচনার হয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের এক বৈঠকে। করোনাভাইরাসের নানাবিধ নতুন ‘স্ট্রেন’ চিহ্নিত করতে নিয়মিত ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’-এর গুরুত্ব নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে। স্থির হয়েছে, শুধুমাত্র ব্রিটেন-ফেরতদেরই নয়, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৫ শতাংশের নমুনা ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’-এর জন্য পাঠানো হবে।

Advertisement

বৈঠকে হাজির ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব ও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের সদস্যরা। সেখানে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এটা বোঝা জরুরি যে বাকি আরএনএ ভাইরাসের মতো নতুন প্রকারের এই করোনাভাইরাস ‘সার্স কোভ-২’ও মিউটেট করবে। তবে এর সংক্রমণও পারস্পরিক দূরত্ববিধি, হাত পরিষ্কার রাখা বা মাস্ক পরার মতো নিয়ম মানলে এবং প্রতিষেধকের মাধ্যমে আটকানো যাবে।’’

পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে দিল্লিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৫ জন। চার মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের কর্মীদের খুব শীঘ্রই কোভিডের প্রতিষেধক দিতে শুরু করবে তারা। এ দিকে, করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছে হায়দরাবাদ। এই মুহূর্তে দেশে যে যে সংস্থাগুলি প্রতিষেধক প্রস্তুত করার কাজে যুক্ত, তার মধ্যে পাঁচটিই এই শহরের। ভারত বায়োটেক, বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড ও অরবিন্দ ফার্মার মতো সংস্থার প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া বর্তমানে নানাবিধ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিষেধক উৎপাদনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ডক্টর রেড্ডি’স ও হেটেরো ফার্মা। কোনও কোনও সংস্থা আবার প্রতিষেধক উৎপাদনের ক্ষমতাও বাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ভারত বায়োটেক ছাড়া বেশ কয়েকটি সংস্থারই বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে ভারত থেকে প্রতিষেধক রফতানি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং শুধু প্রতিষেধক প্রস্তুতই নয়, তা পরিবহণের জন্য কোল্ড চেন পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

ভারতে এখনও জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়া গেলেও পঞ্জাব, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ ও গুজরাত এই চার রাজ্যে আগামী কাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘ড্রাই রান’। চলবে দু’দিন। শুধু প্রতিষেধক দেওয়া ছাড়া এর সঙ্গে জড়িত বাকি সব প্রক্রিয়া কী ভাবে কার্যকর হবে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোল্ড স্টোরেজ পরীক্ষা করা, কোল্ড স্টোরেজ থেকে গন্তব্যে কী ভাবে প্রতিষেধক নিয়ে যাওয়া হবে তা দেখা ও ভিড় সামলানোর মতো কাজ কী ভাবে সম্ভব তা যাচাই করতেই এই ‘মক ড্রিল’। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল সর্বত্রই এই মহড়া হবে।

আরও খবর: ভিন ধর্মে বিয়েতে বাধা, পুলিশের ভয়ে উত্তরপ্রদেশ ছাড়ল যুগলরা

আরও খবর: সোমবার ক্রিকেট মাঠে একই মঞ্চে থাকতে পারেন দাদা আর অমিত শাহ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement