ফ্যাভিরপিরাভির তৈরিতে ছাড়পত্র।
দেশে রোজ বিপজ্জনক ভাবে বা়ডছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এর মাঝেই আশার আলো দেখা গেল। করোনা রোগীদের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ফ্যাভিরপিরাভির’ ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়েছিল আগেই। সেই পরীক্ষায় সাফল্য মেলায় এ বার ওই ওষুধ উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস নামে এক সংস্থাকে ওই ওষুধটি উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সংস্থাটিকে। বাজারে ‘ফ্যাবি-ফ্লু’ নামে আসতে চলেছে ওই ওষুধটি। হালকা ও মাঝারি মাত্রার উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে ‘ফ্যাভিপিরাভির’ কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ সামাল দিতে গত এপ্রিলে ‘ফ্যাভিপিরাভির’ নামে ভাইরাস প্রতিরোধকারী ওই ওষুধটি রোগীদের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা শুরু হয়। তাতে ফল পাওয়া গিয়েছে। তা দেখেই শুক্রবার ওই ওষুধ উৎপাদনে সায় দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্লেন সালডানহা বলছেন, ‘‘এই ছাড়পত্র তখন দেওয়া হল যখন ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ পড়ছে।’’
‘ফ্যাভিপিরাভির’ নিয়ে শুধু ভারতই নয়, আশায় রয়েছে রাশিয়াও। সালডানহা বলছেন, ‘‘ফ্যাবি ফ্লু তৈরি করতে সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে এক জোট হয়ে কাজ করবে গ্লেনমার্ক যাতে সারা দেশ জুড়ে রোগীরা দ্রুত ওষুধ হাতে পান।’’ প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে ওই ওষুধ করোনা রোগীদের হাতে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে জাহাজ থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও বাঁশদ্রোণীর বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার
জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস কর্পোরেশনের সহায়ক সংস্থা ফুজিফিল্ম কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড এই ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটিকে ‘অভিগান’ নামে তৈরি করে। ২০১৪ সালে সেটিকে ফ্লু প্রতিরোধী ওষুধ হিসাবে দেশে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ওষুধটি নিয়ে আশাবাদী রাশিয়াও। ‘আভিফাভির’ নামে ওই একই গোত্রের একটি ওষুধকে ব্যবহার করছে রাশিয়াও।
আরও পড়ুন: সেনার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের, পাল্টা তোপ অমিত শাহের