প্রতীকী চিত্র।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে কার্যত বেসামাল দিল্লি। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত আজ জানিয়েছে, ৩৩টি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউয়ের ৮০ শতাংশ ভেন্টিলেটর যুক্ত শয্যা কোভিড আক্রান্তদের জন্য সংরক্ষিত করতে নির্দেশ দিতে পারবে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় দীপাবলিতে বায়ুদূষণ এবং কমতে থাকা তাপমাত্রা করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সকলেরই।
গত অক্টোবর থেকে দেশে দৈনিক সংক্রমণ মোটের উপর একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু দিল্লির কোভিড পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৯৩ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দিল্লিতে সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। হরিয়ানার গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদেও সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই দুই এলাকা জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি হিসেব বলছে, গত এক সপ্তাহে দেশে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার ২১ শতাংশ দিল্লি ও হরিয়ানার। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও চিন্তা বাড়ছে।
দিল্লি হাইকোর্ট আজ বলেছে, ‘‘পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আপ সরকার অবিলম্বে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুক।’’ রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে আইসিইউয়ে ভেন্টিলেটর যুক্ত শয্যার সংখ্যা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আরও পডুন: পাঠ্যসূচি থেকে বাদ অরুন্ধতী
মাত্র ১৩ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসিইউয়ে ৮০৯টি ভেন্টিলেটর যুক্ত শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে আজ পর্যন্ত ফাঁকা ৯৯ টি শয্যা। রাজধানীর প্রথম সারির অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ পুরো ভর্তি। অন্তত ১৫ দিনের জন্য ৩৩টি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউয়ের ৮০ শতাংশ ভেন্টিলেটর যুক্ত শয্যা কোভিড-আক্রান্তদের জন্য সংরক্ষণ করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল কেজরী সরকার। আজ তাতে সম্মতি দিয়েছে আদালত। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আজ বলেন, ‘‘করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গত কাল ৬৪ হাজার পরীক্ষা হয়েছে।’’