প্রতীকী ছবি।
অসমের মোট ১০টি কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনার গণ-সংক্রমণ। কোভিড পজ়িটিভ কয়েদির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৫ জনে। তার মধ্যে ৪৩৫ জন গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি। পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারকে ২০০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে বদলে ফেলা হয়েছে। কারাগারে সুস্থ কয়েদিদের মধ্যে সংক্রমণ রুখতে আরও ৩৭৬ জন কয়েদিকে কয়েক দিনের মধ্যেই জামিনে ছাড়া হবে। এদের মধ্যে ১১১ জন গুয়াহাটি জেলে বন্দি।
আইজি কারা দশরথ দাস জানান, কারাগারগুলিতে ভিড় কমাতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যে কয়েদি মুক্তির জন্য গড়া উচ্চপর্যায়ের কমিটি মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত ৬৮০১ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে। প্রথম দিকে একসঙ্গে ছাড়া হয়েছিল ২০০০ কয়েদিকে। দোষী সাব্যস্ত ১১৫ জনকে বার্ষিক ছুটি হিসেবে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। গুয়াহাটির পরে সবচেয়ে বেশি কয়েদি আক্রান্ত হওয়ায় কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে নগাঁও জেলে।
এ দিকে গৌহাটি হাইকোর্ট কারা দফতরকে হলফনামা দাখিল করে জানাতে বলেছে, কী ভাবে কারাগায়ে শ’য়ে শ’য়ে বন্দি করোনায় আক্রান্ত হল? আদালতের মতে, কারাগারে বাইরের লোক ঢোকা নিষিদ্ধ। তা হলে নিশ্চয়ই কারাগারের ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি পালিত না হওয়ার ফলেই এত কয়েদি সংক্রামিত হল। কোন কারাগারে কত জন আক্রান্ত ও কী কী স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হয়েছে সব বিশদে জানাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগের জেরে একই রিপোর্ট তলব করেছে।
গত কালের হিসেবে অসমে আরও ১০৪৭ জনের কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়েছে। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরে গড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ গুয়াহাটিতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সংখ্যাটি গত কাল কমে ২১৯ হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার দাবি, নমুনা সংগ্রহ ও পজ়িটিভ রোগীর হার ৫.২৫ শতাংশ নেমেছে। রাজ্যে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭৯১ জন। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যাও বিশ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। সুস্থতার হার ৭১.৮৯ শতাংশ। মৃত্যুহার .২৪ শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৭,২৩,২৮৭টি।