Coronavirus in West Bengal

রোগী কম দেখাতেই কি বেড খালি, প্রশ্ন

কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্যে সংক্রমণ যথেষ্ট ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও ওই পরিমাণ বেড খালি থাকার অর্থ একটাই— রোগীর সংখ্যা কম দেখানোর জন্য ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৩:৫৫
Share:

এএফপির প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের বঙ্গ সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, এই দল দিল্লি ফিরে কেন্দ্রকে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ‘সার্বিক অসহযোগিতার’ অভিযোগ করা হয়েছে বিশদ ভাবে। এমনকি, পশ্চিমবঙ্গ দেশের করোনা মোকাবিলার প্রক্রিয়াকে ‘দুর্বল’ করে দিয়েছে বলেই অভিযোগ ওই দলের।

Advertisement

এই অভিযোগ সম্পর্কে নবান্নের প্রতিক্রিয়া আজ রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার গোড়া থেকে যে বৈরিতার মনোভাব নিয়েছিল, কেন্দ্রীয় দলের আচরণে তা স্পষ্ট। অতিমারিতে তথ্য গোপনের প্রসঙ্গ অর্থহীন। তাই তো এখন কো-মর্বিডিটিকে তারাই স্বীকার করে নিয়েছে। রাজনীতি আর প্রশাসন গুলিয়ে গেলে বিপদ বাড়বে।’’

পশ্চিমবঙ্গে করোনা-পরীক্ষা কম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে কেন্দ্র। প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে কোভিড সেন্টারগুলির বেড সেই সময় ১৩.১ শতাংশ ভর্তি ছিল। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্যে সংক্রমণ যথেষ্ট ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও ওই পরিমাণ বেড খালি থাকার অর্থ একটাই— রোগীর সংখ্যা কম দেখানোর জন্য ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। এপ্রিলের শেষে তিন দিন রাজ্যের করোনা-বুলেটিন প্রকাশ না-করাকেও ‘অমার্জনীয় অপরাধ’ হিসেবেই গণ্য করছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের বক্তব্য, রোগী যখন বাড়ছে, বুলেটিন না-দেওয়ায় কেন্দ্রের হিসেবেও গরমিল হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘কী ভাবে চিকিৎসা হবে, জানতেন না চিকিৎসকেরাও’

কেন্দ্রীয় দল কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ঘুরেছে। রিপোর্টে তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সঙ্গে স্থানীয় কাউকে দেওয়া হয়নি। গুগল ম্যাপ দেখে ঘুরেছেন প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তার সমস্যাও ছিল বলে অভিযোগ। সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় এমন সঙ্কটের সময়ে জনরোষের মুখে পড়ার আশঙ্কা ছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের এক আধিকারিককে দেওয়া হয়েছিল কলকাতার দলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: রাজ্যে মৃত্যু আরও ৭ জনের, নতুন করে আক্রান্ত ৯২

করোনা-পরীক্ষা প্রসঙ্গে রাজ্য আগেই বলেছিল, শুরু থেকে বলা সত্ত্বেও ল্যাবরেটরির অনুমতি পাওয়া যায়নি। কিট-সমস্যাও ছিল। পরে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষাও বেড়েছে। যেমন বুলেটিন প্রকাশ না-করার বিষয়ে রাজ্য জানিয়েছিল, তথ্য সংগ্রহে কিছু ফাঁক মেরামত করে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর ৬৮টি কোভিড হাসপাতালের বেডের সংখ্যা জানিয়ে প্রশাসনের দাবি, করোনা মোকাবিলায় তারা প্রথম থেকেই তৈরি ছিল। তা ছাড়া, সরকারি এবং গৃহ-নিভৃতবাসে প্রয়োজন অনুযায়ী লোককে রাখা হচ্ছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement