ছবি: পিটিআই।
নোংরা শৌচাগার, বেসিনে পানের পিক, খাটে অপরিচ্ছন্ন চাদর। ওয়ার্ডে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তার কুকুর-বেড়াল। দেশজুড়ে সরকারি হাসপাতালের কোয়রান্টিন ওয়ার্ডের এই ছবি জনস্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ফলে বহু জায়গাতেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহে আগরায় কোয়রান্টিনে থাকাকালীন এক মহিলা পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর ছড়ায় সংবাদমাধ্যমে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় তাঁর পরিবার। ওই মহিলার এক বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ৬ মার্চ ওই দম্পতি ইউরোপ থেকে মুম্বইয়ে আসেন। সেখান থেকে ৮ মার্চ যান বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে আগরা যান ওই মহিলা। স্বামী থেকে যান বেঙ্গালুরুতেই। ১২ মার্চ তাঁর স্বামীর করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ে। একই দিনে আগরার হাসপাতালে ওই মহিলা ও পরিবারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। এর পরেই তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ নোংরা অবস্থা দেখে সেখানে থাকতে আপত্তি জানান তিনি। তখন তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। উত্তরপ্রদেশের জনস্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে পরিবারটি এতটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে জেলাশাসককে মধ্যস্থতা করতে হয় শেষমেশ। পর দিনই ওই মহিলাকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
এমন নজির আরও। ৯ মার্চ করোনা-আক্রান্ত সন্দেহে মেঙ্গালুরুর সরকারি হাসপাতালের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় এক জনকে। হাসপাতালের হাল দেখে বেসরকারি পরিষেবা চান তিনি। হরিয়ানার মানেসরে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পরিষেবা উন্নত করার জন্য প্রবল প্রতিবাদ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়।