উদ্ধার হওয়া গয়নাভর্তি তামার পাত্র। ছবি: সংগৃহীত।
জমি খুঁড়তেই উঠে এল তামার পাত্র ভর্তি সোনা। তেলঙ্গানার পেমবার্তি গ্রামের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, এক জমি ব্যবসায়ী ওয়ারাঙ্গল-হায়দরাবাদের জাতীয় সড়কের পাশে ১১ একরের একটি জমি পরিষ্কার করে সমান করার কাজ করাচ্ছিলেন। আর্থমুভার দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় ধাতব একটা পাত্রের আওয়াজ পান। আরও মাটি খুঁড়তেই উঠে আসে একটা তামার পাত্র।
এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু তামার পাত্রের মধ্যে উঁকি মারতেই সকলে স্তম্ভিত হয়ে যান। ওই পাত্রের ভিতর থেকে দেড় কিলোগ্রামের বেশি সোনা এবং ১৮৭.৪৫ গ্রামের মতো রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম থেকে কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন।
সোনা এবং রুপোর গয়নাভর্তি পাত্র উদ্ধারের পরই গ্রামে রটে যায়, ওই জায়গায় আগে মন্দির ছিল। গয়নাগুলো সেই মন্দিরের বিগ্রহের। সঙ্গে সঙ্গে পুজোর উপকরণ নিয়ে এসে ধুমধাম করে পুজোও শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। এ রকম আরও পাত্র আছে কি না তা খুঁজতে জমির নানা জায়গায় খনন শুরু হয়।
গয়না উদ্ধারের খবরটি জেলা প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়। জেলাশাসক ভাস্কর গয়নাভর্তি ওই পাত্র নিয়ে যান। ১৮৭৮ সালের ইন্ডিয়ান ট্রেজার ট্রোভ আইন অনুযায়ী সেই গয়না রাখা হয়েছে ওয়ারাঙ্গল আর্বান জেলা ট্রেজারিতে। ইতিমধ্যেই পুরাতত্ত্ব দফতরের বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন। পরীক্ষা করে দেখছেন গয়নাগুলো কোন সময়ের।