বেতুলের থানায় বেঁধে রাখা হয়েছে চা বিক্রেতাকে। ছবি: সংগৃহীত।
থানার মধ্যেই জানলার সঙ্গে বাঁধা হল চা বিক্রেতাকে। সাধারণ ভাবে নয়। তাঁর কাঁধে একটি লাঠি রেখে সেই অবস্থাতেই হাত উঁচু করে জানলার শিকের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই অভিযুক্ত পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ড করা হল।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বেতুলের। সেখানকার মুলতাই থানার সাব-ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, থানার ভিতর জানলার ধারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এক যুবককে। তাঁর হাত উঁচু করে তুলে জানলার সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সে ভাবেই তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে এসপি নিশ্চল ঝরিয়া ওই ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভিডিয়োর ভিত্তিতে ওই চা বিক্রেতা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর অভিযুক্ত সাব-ইনস্পেক্টর সুনীল সারেয়ামকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এসপি জানিয়েছেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিয়োটিতে যাঁকে দেখা গিয়েছে, তাঁর নাম অজয় ফরকরে। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা। রাস্তার ধারে একটি স্টলে তিনি চা বিক্রি করেন। সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে তিনি এসপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। চা বিক্রেতা জানিয়েছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে বাসস্ট্যান্ডের ধারের স্টল থেকে আচমকা পুলিশ তাঁকে তুলে আনে। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বার বার সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও শোনেননি সাব-ইনস্পেক্টর, দাবি যুবকের। অভিযোগ, জানলার সঙ্গে বেঁধে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরে যুবক ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।