আবার গোমাংস, আবার গুজব, আবার হেনস্থা!

গোমাংস রান্না করার গুজবে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল হেনস্থার মুখে পড়তে হল চার কাশ্মীরি পড়ুয়াকে। প্রায় দাদরির মতো ঘটনাই ঘটতে চলেছিল মেবার বিশ্ববিদ্যালয়ে। হস্টেলে নিজেদের ঘরে গোমাংস রান্না করছেন ওই চার পড়ুয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৬ ১৫:২৮
Share:

গোমাংস রান্না করার গুজবে রাজস্থানের বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল হেনস্থার মুখে পড়তে হল চার কাশ্মীরি পড়ুয়াকে। প্রায় দাদরির মতো ঘটনাই ঘটতে চলেছিল মেবার বিশ্ববিদ্যালয়ে। হস্টেলে নিজেদের ঘরে গোমাংস রান্না করছেন ওই চার পড়ুয়া। এমনই গুজব রটেছিল। এলাকার লোকজন ঘিরে ফেলেন হস্টেল। জনরোষ থেকে বাঁচতে লুকিয়ে পড়েন চার পড়ুয়া। পরে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ওই চার জনকেই। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেতে হয়েছে তাঁদের। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, গোমাংস নয়, ছাগলের মাংসই রান্না করা হচ্ছিল।

Advertisement

মেবার বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার পাঁচেক ছাত্র পড়াশোনা করেন। তাঁদের মধ্যে ৯০০ জনই জম্মু-কাশ্মীরের। এঁদের মধ্যেই চার জন হস্টেলে নিজেদের ঘরে মাংস রান্না করছিলেন। হস্টেলের ওয়ার্ডেনের কাছে অভিযোগ যায়, কাশ্মীরি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে গোমাংস রান্না করছেন। শুধু ওয়ার্ডেন পর্যন্ত পৌঁছে থেমে থাকেনি এই ‘খবর’। মেবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও আগুনের মতো ছড়ায় গুজব। লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে পড়ে ওই কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হস্টেলের সামনে জড়ো হয়। বিপদ আঁচ করে লুকিয়ে পড়েন চার পড়ুয়াই। দরজা খোলেননি তাঁরা। এর পর পুলিশ পৌঁছয় হস্টেলে। চার পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। পরীক্ষা করা হয় তাঁদের রান্না করা মাংসও। দেখা যায়, ছাগলের মাংস রান্না করছিল কাশ্মীরি পড়ুয়ারা। গোমাংস নয়।

আরও পড়ুন:

Advertisement

দেশবিরোধী স্লোগান দেয় বহিরাগতরাই

রাজস্থানে গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। মেবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানে আবার আমিষ খাবার ঢোকানোই নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম ভাঙার অপরাধেই পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়। এই ধরনের ঘটনা ওই পড়ুয়ারা আর কখনও ঘটাবে না, এমন মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের কাছ থেকে। মেবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশি টহল চলছে। তবে গোমাংস রান্নার গুজব রটিয়ে আরও একটি দাদরির মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা কারা করেছিল, তা খুঁজে বার করতে প্রশাসনের খুব একটা হেলদোল নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement