National News

বোলসোনারো কেন অতিথি? বিতর্ক শুরু

বোলসোনারোকে ধিক্কার জানিয়ে কাল যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ ধর্নায় বসার ডাক দিয়েছে এসএফআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫৬
Share:

নয়াদিল্লি পৌঁছলেন জাইর বোলসোনারো। শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোয় বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দিত এক ব্যক্তিকে অতিথি করে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

আজ নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছেন বোলসোনারো। তাঁকে ধিক্কার জানিয়ে কাল যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ ধর্নায় বসার ডাক দিয়েছে এসএফআই। তাদের বক্তব্য, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকারের মতোই এই বোলসোনারো সরকার জাতীয়তাবাদ এবং দেশভক্তির প্রচার করে ব্রাজিলের সম্পদ, শিল্প এবং গণপরিষেবাকে বেসরকারি সংস্থাগুলির হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে।’’

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘বোলসোনারো একটি গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচিত নেতা। সেই দেশের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রয়েছে। সেই সমন্বয়ের উপর ভিত্তি করে ব্রাজিলের নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ভারতের একমাত্র লক্ষ্য।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আমাদের শব্দচয়নেই যুদ্ধের ভাব, বলছেন ইরানত্যাগী লেখক শোলে ওলপে

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীতে (ব্রিকস, জি-২০) বিদেশনীতির প্রশ্নে গভীর যোগাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবিকে বরাবর সমর্থন করেছে তারা। গোটা লাতিন আমেরিকার মধ্যে ব্রাজিলই একমাত্র দেশ, যারা চিনের উত্থানের রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছে। সৌরশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে মোদী সরকারের জোট গঠনের অন্যতম অংশীদার ব্রাজিল। কিন্তু বিদেশমন্ত্রকের আক্ষেপ, এই ঘনিষ্ঠতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে ঠিকমতো অনুবাদ করা যায়নি। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে তেল-নির্ভরতা কমিয়ে আনতে মরিয়া ভারতের কাছে ব্রাজিল নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষনীয় দেশ। লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ ব্রাজিলের খনিজ, তেল, ইথানলের ভাঁড়ার ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভৌগোলিক দূরত্বের জন্য সেই দেশ থেকে আমদানির খরচ এতটাই বেড়ে যায়, যে বহু ক্ষেত্রে তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নয়াদিল্লির উদ্দেশ্য, এই বাধাকে অতিক্রম করে ব্রাজিলকে কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে কাজে লাগানো। বিদেশ মন্ত্রক ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের আসন্ন সফর শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সাক্ষী থাকাই নয়। ব্রাজিল থেকে তাঁর সঙ্গে আসছে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলও। ভারতের বাণিজ্যকর্তাদের সঙ্গে সেই প্রতিনিধি দলের বিস্তারিত বৈঠক হবে। কাঁচামালে সমৃদ্ধ ব্রাজিলকে

কাছে টানার জন্য ভারতীয় শিল্পপতিদের দিক থেকেও চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement