বর্ষ-বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কি তা হলে নিজের বিদায়-বাণীই শুনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী?— ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই নতুন বছর। আর সে বছরের অন্যতম বড় ঘটনা লোকসভা ভোট। শেষ হতে চলা বছরের শেষ দিনে তাই গা ঘামিয়ে নিলেন নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গাঁধীরা। বার্তা দিলেন দেশবাসীকে।
কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এ কী বললেন! ২০১৮ সালের এক গুচ্ছ সাফল্য বর্ণনা করে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির ছোট-বড় নেতারা যেটি শেয়ার করে প্রচার করেছেন। তারই শেষ অংশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি কখনও ভাবিনি, দেশ আমিই বদল করে দেব। কিন্তু আমার ভরপুর বিশ্বাস, দেশে যদি লক্ষ সমস্যা থাকে, তার ১২৫ কোটি সমাধানও আছে।’’
কংগ্রেসের প্রশ্ন, পাঁচ বছর আগে ক্ষমতায় আসার সময় এই নরেন্দ্র মোদীই তো সব সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন! বর্ষ-বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কি তা হলে নিজের বিদায়-বাণীই শুনিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী? শেষ পর্যন্ত কবুল করেই ফেললেন যে, তাঁর পক্ষে আর সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়?
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে আক্রমণে রাহুল
বর্ষশেষে কংগ্রেসও একটি পাল্টা ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তাতে রয়েছে রাহুলের নানা উদ্ধৃতি। যে রাহুল এখন মোদীকে টক্কর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিজেপি নেতারাও এখন ঘরোয়া মহলে কবুল করছেন, ২০১৮ সালে রাহুল ‘পাপ্পু’ থেকে মোদীর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: অগুস্তা আক্রমণে আসরে অমিতও
বিজেপির ভিডিয়োতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’, সব গ্রামে বিদ্যুৎ, মহাকাশ অভিযান, সর্দার পটেলের সব থেকে বড় মূর্তি স্থাপন থেকে খেলোয়াড়দের সাফল্যেরও কৃতিত্ব দলকে দিয়েছে। আর কংগ্রেস মেলে ধরেছে মোদীর ব্যর্থতাগুলি— নোটবন্দি থেকে গণপিটুনি, হিংসা থেকে ঘৃণার রাজনীতি। আর সেই সঙ্গে রয়েছে সংসদ ও সংসদের বাইরে রাহুলের বক্তৃতার অংশ, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সত্যের জন্য লড়ার কথা বলছেন। খাস সংসদে দাঁড়িয়ে মোদীকে বলছেন, ‘‘আপনার মনে আমার প্রতি ঘৃণা, ক্রোধ থাকতে পারে। কিন্তু আপনার প্রতি আমার নেই। আপনার সব ঘৃণা আমি ভালবাসায় দূর করব।’’ সংসদে এই কথা বলেই রাহুল জড়িয়ে ধরেছিলেন মোদীকে।
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, ‘‘আগামী একশো দিন ভোটের জন্য ‘ললিপপ’ দেওয়া হবে, সরকারি সংস্থার বিস্তর অপব্যবহার করা হবে, হিন্দুত্বের তাণ্ডব হবে, ঢালাও খরচ করে প্রচার হবে। তা সত্ত্বেও আগামিকাল ক্যালেন্ডারের পাতা বদলাবে, তিন মাস পরে সরকার।’’