Ram Nath Kovind

কোবিন্দ-বক্তৃতায় বিতর্ক

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ছিল, ‘‘গাঁধীজি বলেছিলেন, পাকিস্তানে যে সব হিন্দু ও শিখেরা থাকতে চান না, তারা ভারতে আসতে পারেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

সংসদ অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, সিএএ এনে মোদী সরকার জাতির জনকের ইচ্ছাপূরণ করছে। আজ সংসদের দুই কক্ষেই অভিযোগ উঠল, মোদী সরকার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় গাঁধীজির মন্তব্য বিকৃত করেছে। আজ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কে সংসদে কংগ্রেসের শশী তারুর ও তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় এই অভিযোগ তোলেন।

Advertisement

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ছিল, ‘‘গাঁধীজি বলেছিলেন, পাকিস্তানে যে সব হিন্দু ও শিখেরা থাকতে চান না, তারা ভারতে আসতে পারেন।’’ কিন্তু আজ লোকসভায় তারুর বলেন, ‘‘গাঁধীজি একই সঙ্গে বলেছিলেন, ভারত থেকে যদি সমস্ত মুসলিমকে তাড়ানো হয়, তা হলে দেশ চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে।’’

রাজ্যসভায় সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘১৯৪৭-এর ২৫ জুলাই এক প্রার্থনাসভায় গাঁধী এই মন্তব্য করে বলেছিলেন, এ দেশে মুসলিম, পার্সি, খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মাবলম্বীও রয়েছেন। ভারত হিন্দুদের রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে বলে হিন্দুদের ধারণা ভুল। ভারত এ দেশের সব বাসিন্দার। গাঁধীজিকে বেছে বেছে উদ্ধৃত করবেন না।’’

Advertisement

সংসদের দু’কক্ষেই বিরোধীরা কেন্দ্রের দিকে ধর্মের নামে বিভাজনের নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তারুর অভিযোগ তোলেন, ১৯৪৭-এ ভারতের জমি ভাগ হয়েছিল। ২০২০-তে মোদী সরকার ভারতের অন্তরাত্মা ভাগ করছে। তিনি বলেন, ‘‘এরা হিন্দু বনাম মুসলিম, দেশদ্রোহী বনাম দেশভক্ত, হিন্দিভাষী বনাম অ-হিন্দিভাষীতে দেশের বিভাজন করছে। এই সরকারই আসলে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এ পরিণত হয়েছে।’’

কুণাল কামরার উড়ানে নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তারুর বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়ার কোনও উল্লেখ নেই। কারণ সরকার স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানদের নিষেধাজ্ঞায় ব্যস্ত।’’ এসপি-র অখিলেশ যাদব ও জেডি-ইউ-র রাজীব রঞ্জন সিংহ দাবি তোলেন, জনগণনার জাতিভিত্তিক গণনাও করা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement