ছবি: সংগৃহীত।
দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, সেই সমন্ত গয়ালকে দেশের গুপ্তচর সংস্থা র’-এর শীর্ষ পদে বসানো নিয়ে প্রথম দিনেই বিতর্ক উঠেছিল। এ বার প্রশ্ন উঠল, সমন্তকে কি সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বালাকোট অভিযানের কৃতিত্বও দেওয়া যায়?
গত ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি-র কনভয়ে জঙ্গি-হানার জবাবে বালাকোটে বায়ুসেনা অভিযান চালিয়েছিল। বুধবার সমন্তকে র’-এর প্রধান নিয়োগের পর সরকারের একাংশ দাবি করেছিল, তিনিই র’-এর স্পেশাল সেক্রেটারি হিসেবে বালাকোট অভিযান পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন।
গুপ্তচর সংস্থা র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং)-এর মধ্যেই কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি সূত্রের দাবি, বায়ুসেনা, এনটিআরও-কে বাদ দিলে র’-এর প্রবীণতম অফিসার আর কুমারেরই সেই কৃতিত্ব প্রাপ্য। কারণ সমন্ত নন, কুমারই র’-এর পাকিস্তান ডেস্কের দায়িত্বে রয়েছেন। পাকিস্তানের বালাকোটে ওই জঙ্গি শিবির ও সেখানে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি তার উপরে নজর রাখছিলেন। তাঁর দেওয়া একেবারে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই বায়ুসেনা অভিযান চালায়।
এমনিতেই বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানে বাস্তবে কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলে রেখেছে। সরকারও এ নিয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি। তার উপরে বালাকোটে কৃতিত্ব নিয়েই গোয়েন্দা শিবিরে দ্বিমত। প্রবীণতম অফিসার হলেও কুমারকে টপকেই সমন্তকে র’ প্রধান করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণেই কি সরকারের অন্দরমহল থেকে সমন্তকে বালাকোটের কৃতিত্ব দেওয়ার চেষ্টা?
সিবিআইয়ে অলোক বর্মা বনাম রাকেশ আস্থানার বিবাদের সময় সিবিআইয়ের কিছু অফিসারই অভিযোগ তুলেছিলেন, আস্থানার সাহায্য নিয়ে সমন্ত মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে মামলা লঘু করার চেষ্টা করেছিলেন। তা নিয়ে এফআইআর-ও হয়েছে। খাতায়-কলমে তদন্তও চলছে। তা ছাড়া র’-এর অফিসার কুমার নিজে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং সার্ভিসের অফিসার। তাঁকে টপকে আইপিএস অফিসার সমন্তকে শীর্ষে বসানোয় র’-এর অন্দরেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।