রাহুল গান্ধীর বারাণসী যাত্রা ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ। — ফাইল ছবি।
কংগ্রেসের সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর বারাণসী যাত্রা নিয়ে তোলপাড় দিল্লির রাজনীতি। সোমবার রাতে ভাড়াটে বিমানে বারাণসী বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল রাহুলের। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিমানবন্দরে নামার অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আবার দিল্লি ফিরে আসতে হয় তাঁকে। যদিও বারাণসী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, যে বিমানে চড়ে রাহুল বারাণসী আসছিলেন, সেই বিমান সংস্থাই বিমানটি বাতিল করে।
সোমবার রাতে এই ঘটনার পরই কংগ্রেস নেতা অজয় রাই অভিযোগ করেন, দিল্লির চাপেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাহুলের বিমানের অবতরণের অনুমতি দেয়নি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিমান নামার অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা রাহুলের বিমানকে দিল্লি ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু কংগ্রেসের এই দাবিতে সত্যতা নেই বলে পাল্টা দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।
অজয় অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর বিমান এখানেই নামার কথা ছিল। তার পর তাঁর যাওয়ার কথা ছিল প্রয়াগরাজ। কিন্তু মোদী সরকারের চাপের কাছে মাথা নত করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান অবতরণের অনুমতি দেয়নি।’’ তার পরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে অজয় বলে দেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। তাই এই সব করে তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’
অজয় জানিয়েছেন, তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাহুলকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে রাহুলের বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি। এর পরেই রাহুল আবার দিল্লি ফিরে যান। কংগ্রেসের এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে ‘এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’। তাদের দাবি, যে চার্টার্ড বিমানটিতে চড়ে দিল্লি থেকে বারাণসী আসছিলেন রাহুল, সেই বিমান সংস্থাই বিমানটি বাতিল করে।
টুইটারেও নিজেদের কথা বলতে এগিয়ে আসেন বারাণসী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেসকে সরকারি সংস্থার জবাব, ‘‘১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ১৬ মিনিটে বারাণসী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেল করে মেসার্স এআর এয়ারওয়েজ জানান, বিমানটি বাতিল করা হয়েছে। দয়া করে আপনার বক্তব্যের ভুল শুধরে নিন, কারণ বিমান সংস্থাই উড়ান বাতিল করেছিল।’’