আগামী বছর ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলল কংগ্রেস। আগামী বছরের গোড়ায় ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস নেতৃত্ব-সহ বিরোধীদের উপরে বিজেপির লাগাতার হামলার অভিযোগ তুলে আজ কংগ্রেস দাবি করেছে, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জারি করা হোক।
গত ফেব্রুয়ারিতে সুদীপ রায়বর্মণ তৃণমূল থেকে বিজেপি ঘুরে কংগ্রেসের ফেরার পর থেকেই তাঁর উপরে একাধিক বার হামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপনির্বাচনে আগরতলা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন সুদীপ। এক সপ্তাহ আগেও তাঁর উপরে ফের হামলা হয়। আগরতলায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতরেও বিজেপি কর্মীরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। আজ দিল্লিতে রাজ্য কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণ, আশিসকুমার সাহাকে পাশে নিয়ে এআইসিসি-তে ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত নেতা অজয় কুমার দাবি করেছেন, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় এখন ‘সুপার জঙ্গলরাজ’ চলছে। কংগ্রেস তাই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছে। কারণ এ ভাবে বিরোধী নেতাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচন হতে পারে না।
সুদীপ রায়বর্মণের বাবা সমীররঞ্জন বর্মণই ছিলেন ত্রিপুরায় কংগ্রেসের শেষ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মেয়াদ শেষের পরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ১৯৯৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট হয়। সেই নির্বাচনে বামফ্রন্ট ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে। কালের নিয়মে সমীররঞ্জনের ছেলে সুদীপ আজ বিজেপিকে হটাতে ফের নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁর যুক্তি, ‘‘বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পরে গত ৫২ মাসে ৬০৪টি খুন হয়েছে। গড়ে মাসে ১১টির বেশি। রাজনৈতিক কাজ করার স্বাধীনতা নেই। আমার উপরে সাত বার হামলা হয়েছে। আজ দিল্লিতে রয়েছি। আগামিকাল ত্রিপুরায় ফেরার পরে বেঁচে থাকব কি না জানি না।’’ কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, শনিবার রাতেই জিরানিয়াতে বিজেপির দলবল কংগ্রেসের কর্মী কেশব সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।