—ফাইল চিত্র
প্রাপ্তবয়স্কদের সার্বিক টিকাকরণের লক্ষ্যপূরণ এখনও বহু দূর। সরকারি সূত্রেই যে তথ্য মিলেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে সবথেকে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু ভোটমুখী এই রাজ্যের টিকা না পাওয়া মানুষের হারও সবথেকে বেশি। তার মধ্যে আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, করোনা উত্তরপ্রদেশে সংক্রমণ বেড়েছে ২১৫ শতাংশ! ওমিক্রন ও তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত কি না, এই অবস্থায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নির্বাচন কমিশন ঠিক সময়েই নির্বাচন করানোর ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, সব রাজনৈতিক দল তেমনটাই চেয়েছে।
কমিশনের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দলগুলি। কমিশন যে ভাবে রাজনৈতিক দলগুলির ঘাড়ে ভোটের দায় চাপিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন কমিশনের ভাবভাব নিয়েই। কমিশনকে ‘দন্তহীন বাঘ’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, কত জনের টিকা হয়েছে আর কত জনের হয়নি, সে তথ্য সরকার এবং কমিশনের কাছে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নয়। ফলে বিরোধীদের ঘাড়ে দায় না চাপিয়ে কমিশন মোদী সরকারের থেকে তথ্য নিয়ে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিক।
কংগ্রেসের সুরজেওয়ালার যুক্তি, কমিশনকে মনে রাখতে হবে, কোভিডের সংক্রমণের হার, সংক্রমিতের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার গতি, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফল, ওমিক্রনের প্রভাব, কত জনের টিকাকরণ বাকি, সকলের টিকাকরণ কবে হবে, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মোদী সরকারের কাছে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নয়। প্রথম ঢেউয়ের সময় সমস্ত সতর্কবার্তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী ‘নমস্তে ট্রাম্প’ করেছিলেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যত্র জনসভা করেছেন। নির্বাচন কমিশন সে সময় নীরব দর্শক হয়ে ছিল। তার ফলে ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কমিশন কি মোদী সরকারর কাছে কোভিড পরিস্থিতি, টিকাকরণ নিয়ে তথ্য চেয়েছে? সেই তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়েছে? সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘দন্তহীন বাঘের মতো আচরণ না করে নির্বাচন কমিশন মোদী সরকারের থেকে তথ্য নিয়ে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিক। সাংবিধানিক দায়িত্ব একমাত্র নির্বাচন কমিশনের উপরেই বর্তায়।’’