মেজাজে: কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। সোমবার বেঙ্গালুরুতে। পিটিআই
সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলে আজ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গাঁধী।
এনডিটিভি-র প্রধান প্রণয় রায়ের বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পরে শনিবার দিল্লিতে একজোট হয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সাংবাদিকরা। আজ বেঙ্গালুরুতে জওহরলাল নেহরুর শুরু করা ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ কাগজের স্মারক সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, দলিতদের মারধর করা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো হচ্ছে, আমলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে জোর করে অনৈতিক কাজ করানো হচ্ছে। আর এরই সঙ্গে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের। সাংবাদিকরা যা লিখতে চান, তা লিখতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরাই সত্য লিখতে চাইছেন, সরকার তাঁদের মুখ বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছে।
আজ সকালেই ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’-এ রাহুলের একান্ত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেও মোদীকে তুলোধোনা করেছেন রাহুল। তাঁর মতে, হিন্দুত্বের মৌলিক ভাবনা ভিন্নমতকে স্বীকার করা, অপরাধীকেও ক্ষমা করা। মহাত্মা গাঁধীর ভাবনাও ছিল তাই। তিনি বলতেন, কোনও কংগ্রেসিই মনে ঘৃণা ও ক্রোধ রাখতে পারেন না। রাহুল বলেন, গ্রাম থেকে রোজগারের সন্ধানে মানুষ শহরে যাচ্ছেন। অথচ ফি-বছরে ২ কোটি রোজগার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নরেন্দ্র মোদী দিলেও বাস্তবে হচ্ছে মাত্র ১-২ লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে দেশে যে হতাশা ও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে, সেটিকে ঘৃণা ও ক্রোধে পরিণত করছেন মোদী আর বিজেপি-আরএসএস। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্কীর্ণ উন্নয়নের মডেল মুষ্টিমেয় কয়েক জনের ভাল করছে।
রাহুলের মতে, প্রধানমন্ত্রী বারবার পাঁচ হাজার বছরের পুরনো কথা বলেন। পৌরাণিক উড়ন্ত রথ, গণেশের প্লাস্টিক সার্জারি, প্রাচীন জেনেটিক বিজ্ঞানের কথা বলেন। ইউপিএ মানুষকে কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা দিয়েছিল। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যৎ আটকে অতীতেই।
বিজেপি অবশ্য বলছে, কংগ্রেস সহ-সভাপতি ‘মোদী-আতঙ্কে’ ভুগছেন। নরেন্দ্র মোদীর দর্শনই হল পংক্তির শেষ মানুষের উন্নয়ন। আর কণ্ঠরোধের কথা রাহুলের মুখে মানায় না। ইন্দিরা গাঁধীর আমলেই জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল দেশে। আর যে ন্যাশানাল হেরাল্ডের মঞ্চে তিনি এ সব বলেছেন, সেখানকার দুর্নীতিতে তিনি নিজেও অভিযুক্ত।