তখমন তাঁরা পাশাপাশি— রাহুল গাঁধী এবং তেজস্বী যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
সমঝোতা ভেঙে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিহারে আলাদা লড়াই করছে কংগ্রেস এবং আরজেডি। বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক ভক্তচরণ দাস শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিলেন, আগামী লোকসভা ভোটেও সে রাজ্যে লালুপ্রসাদের দলের সঙ্গ ছেড়ে আলাদা ভাবে লড়াই করতে পারে কংগ্রেস।
ভক্তচরণ শুক্রবার বলেন, ‘‘আরজেডি আমাদের সম্মান দিচ্ছে না। আমরা কী ভাবে তাদের সম্মান দেব? তার চেয়ে দলকে শক্তিশালী করে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের একক শক্তিতে বিহারে লড়াই করব।’’
আগামী ৩০ অক্টোবর বিহারের তারাপুর এবং কুশেশ্বর অস্থান বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে তারাপুরে লড়াই করেছিল আরজেডি। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল কুশেশ্বর অস্থানে। উপনির্বাচনেও একই সূত্র অনুসরণের প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব একতরফা ভাবে দু’টি আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। পাল্টা কংগ্রেসও দু’টি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ কুশেশ্বর অস্থান বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করার কথা ঘোষণা করেছেন।
বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ ইতিমধ্যেই আরজেডি-র সঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, কানহাইয়া কুমার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় বিহারের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফের কংগ্রেসমুখী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে মগধভূমে ‘একলা চলো’ নীতি নেওয়া প্রয়োজন।