প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। পিটিআই
‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার কাছে সংবিধান খুব শীঘ্রই পৌঁছবে। দেশ ভাগ করার কাজ থেকে যখনই সময় পাবেন, অনুগ্রহ করে পড়বেন’— প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনলাইনে সংবিধানের একটি কপি পাঠিয়ে এই চিঠি লিখেছে সনিয়া গাঁধীর দল।
গত কাল দেশবাসীর কাছে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী সংবিধান বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। মোদীকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের গভীর চক্রান্ত হচ্ছে।’’ কিছু দিন আগেই সনিয়ার নেতৃত্বে ২০টির মতো বিরোধী দল বৈঠকে ঠিক হয়েছিল , প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের নানা প্রান্তে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হবে। আজ সকাল থেকে কংগ্রেস সনিয়া, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, মনমোহন সিংহদের সংবিধান প্রস্তাবনা পাঠের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু করে। এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংবিধানের একটি কপিও।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আজ দিনভর ব্যস্ত ছিলেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজপথে প্যারেডের ছবি পোস্ট করে তাঁর টুইট, ‘‘আজকের দিনটি স্মরণ করা উচিত সেই অবিস্মরণীয় ব্যক্তিদের, যাঁরা আমাদের একটি সামগ্রিক সংবিধান দিয়েছেন। যে সংবিধান ১৩০ কোটি ভারতীয়র মঙ্গল সুনিশ্চিত করে।’’ বিজেপির মতে, শাহিন বাগ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে ছবি একের পর এক উঠে আসছে, তাতে ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে, বিভাজনের রাজনীতির নেপথ্যে কারা? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিদিনই দিল্লিতে সভা করছেন এবং বিভাজন ছড়ানোর জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন ‘রাহুলবাবা’ (রাহুল গাঁধী) ও অরবিন্দ কেজরীবালকে। আজও তিনি বলেছেন, ‘‘ভোটের দিন আপনাদের রাগ প্রকাশ করার জন্য এত জোরে (ভোটযন্ত্রের) বোতাম টিপুন, যেন শাহিন বাগে ‘কারেন্ট’ লাগে।’’
আরও পড়ুন: অমিতের সামনেই এনআরসি-বিরোধী যুবাকে মার
অমিত যা-ই বলুন না কেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে সিএএ-এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বিরোধীরা এবং সাধারণ মানুষও। কেরলে বিশাল মানববন্ধনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও। গুজরাতে ‘তিরঙা
যাত্রা’য় অংশ নিয়েছিলেন কয়েকশো মহিলা। সংবিধানের প্রস্তাবনাও পাঠ করেন তাঁরা।