উচ্ছ্বাস: রাজস্থানের উপনির্বাচনে জয়ের পরে রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি সচিন পায়লট ও জয়ী প্রার্থী রঘু শর্মা। বৃহস্পতিবার অজমেরে। ছবি: পিটিআই।
গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর গড়ে অল্পের জন্য পারেননি, তবে মরু-রাজ্যে নির্বাচনের সেমিফাইনালে বিজেপিকে হারিয়ে দিলেন রাহুল গাঁধী। দিল্লিতে মোদী যখন বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত, রাজস্থানে নিজেদের তিন আসনেই কুপোকাত হল বিজেপি।
চলতি বছরের শেষেই বিজেপি শাসিত রাজস্থানে বিধানসভা ভোট। তার আগে অজমের, অলবরের লোকসভা আর মণ্ডলগড়ের বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের রঘু শর্মা, কর্ণ সিংহ এবং বিবেক ধাকর। বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলা থেকে শুরু করে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে নীরব থেকে রাজপুতদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন আদায়ের চেষ্টা— কাজে আসেনি কিছুই। রাজ্যের ১৯ জন মন্ত্রীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার রোড-শো’ও ভোটারের।
সভাপতি হওয়ার পর প্রথম সাফল্য পেয়ে রাহুলের টুইট, ‘ওয়েল ডান রাজস্থান কংগ্রেস!... রাজস্থানের মানুষ প্রত্যাখ্যান করল বিজেপিকে’। গত লোকসভায় অজমেরে হেরে যাওয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট এ বার দলকে জিতিয়ে নিজের অবস্থান জোরাল করলেন। তাঁর দাবি, ইস্তফা দিন বসুন্ধরা। আর মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরার বক্তব্য, ‘‘হারের সমীক্ষা হবে। তবে উপনির্বাচনের ফল দিয়ে গোটা রাজ্যের বিচার হয় না।’’ তবে দলের তিন নেতার মৃত্যুর পর শূন্য হওয়া আসনে পরাজয়ে
আরেক নেতার ব্যাখ্যা, অজমেরে রাজপুতদের অসন্তোষের খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। অলবরে দুই দলেরই লড়াই ছিল যাদবদের মধ্যে। কিন্তু প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে বিজেপি’র।
যদিও বাজেটের দিন এই পরাজয়ে বাড়তি তাৎপর্য দেখছে কংগ্রেস। দলের বেশ কয়েকজন নেতার দাবি, প্রধানমন্ত্রী যে ভোট এগিয়ে আনতে চাইছেন, তার অন্যতম কারণ দেশজুড়ে মানুষের সমর্থন ক্রমাগত কমছে। সে কারণে বাজেটের
মাধ্যমে নতুন করে হাওয়া তুলতে চাইছেন মোদী।
এক নেতার কথায়, ‘‘হারের ভয়েই কি বিজেপির দোসর নির্বাচন কমিশন বাজেটের দিন ফল ঘোষণার দিন স্থির করেছিল? যাতে বাজেট ঘোষণায় ঢেকে যায় পরাজয়! ’’