নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র কেরলের ওয়েনাড়ে সমর্থকদের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রবিবার। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধী মাত্র ৩৭ মিনিট বক্তৃতা করেছিলেন। তিন দিনের আলোচনার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাবি বক্তৃতা ছিল ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের। কংগ্রেসের দাবি, ইউটিউব-সহ নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের বক্তৃতাই অনেক বেশি মানুষ শুনেছেন। আজ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনতে দাবি করেছেন, সংসদ টিভি-র ইউটিউব চ্যানেলে রাহুলের বক্তৃতা শুনেছেন ৩.৫ লক্ষ মানুষ। সেই তুলনায় মোদীর বক্তৃতার দর্শক সংখ্যা ছিল ২.৩ লক্ষ।
ইউটিউবে মোট ২৬ লক্ষ বার রাহুলের বক্তৃতা দেখা হয়েছে। মোদীর বক্তৃতা ৬.৫ লক্ষ। ফেসবুকে রাহুলের বক্তৃতা দেখা হয়েছে ৭৩ লক্ষ বার। মোদীর বক্তৃতা সেখানে মাত্র ১১ হাজার বার দেখা হয়েছে। টুইটার অর্থাৎ অধুনা এক্স-এ রাহুলের বক্তৃতা দেখার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার, মোদীর ২২ হাজার। কংগ্রেসের বক্তব্য, এ থেকেই স্পষ্ট, ‘জুমলা’র দিন শেষ। মানুষ এ বার সত্যিকারের নেতার কথা শুনতে চায়।
রাহুল গান্ধী শনি-রবিবার কেরলের ওয়েনাডে ছিলেন। সাংসদ পদ ফেরার পরে এই প্রথম তিনি নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাডে গেলেন। রবিবার রাহুল বলেছেন, ওয়েনাডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক পরিবারের মতো। বিজেপি, আরএসএস পরিবার কী, তা বোঝে না। তারা বোঝে না যে, সাংসদ পদ খারিজ করা হলে ওয়েনাডের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুতই হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসে রাহুল গান্ধী বেলজিয়াম, নরওয়ে ও ফ্রান্স সফরে যাবেন। সেখানে প্রবাসী ভারতীয়, ভারতীয় পড়ুয়াদের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।