খুশি সচিন পাইলট
অশোক গহলৌত মন্ত্রিসভায় রদবদল করে মরুরাজ্যে আপাতত গোষ্ঠীদন্দ্ব সামাল দিল কংগ্রেস। আজ যে ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন, তার মধ্যে ১৫ জন নতুন মুখ। নতুনদের মধ্যে ১১ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং চার জন প্রতিমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের অনুগামী। অনুগামীরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি পাইলট। মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হবে।
গত বছর গহলৌত এবং পাইলটের বিবাদের জেরে রাজস্থানে সঙ্কটে পড়েছিল কংগ্রেস সরকার। শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সেই বিবাদ মিটেছিল। সমঝোতার শর্ত ছিল পাইলটের অনুগামীদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হবে। সেই মোতাবেক আজ মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হল। গত বছর পাইলটের ‘বিদ্রোহে’র সময় মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বিশ্বেন্দ্র সিংহ এবং রমেশ মিনাকে। তাঁদের পুনরায় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। হেরারাম চৌধরি, মহেন্দ্রজিৎ সিংহ মালবীয়া, রামলাল জাঠ, মহেশ জোশীরা মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ। মমতা ভূপেশ বৈরওয়া, ভজনলাল জাঠভ, টিকারাম জুলিকে প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী করছেন গহলৌত। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গহলৌত এবং পাইলট শিবিরের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই এ বার মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়েছে।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত জানিয়েছেন, এই মন্ত্রিসভায় তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিত , সংখ্যালঘু-সহ সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হবে।’’ যাঁর ‘বিদ্রোহে’র জেরে মন্ত্রিসভার রদবদল সেই পাইলট আজ দৃশ্যতই খুশি। তাঁর অনুগামীদের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কে কার অনুগামী এ সব বলা ঠিক নয়। আমাদের সকলের লক্ষ্য বিজেপিকে পরাজিত করা। মন্ত্রিসভায় যাতে রাজ্যের সব প্রান্তের মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকে সেই জন্যই মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়েছে।’’ তবে এ বার রাজ্য রাজনীতিতে পাইলটের ভূমিকা কী হবে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরারা চান পাইলট গুজরাত কংগ্রেসের দায়িত্ব নিন। কারণ আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তিনি তাতে খুব একটা আগ্রহী নন। পাইলট চান রাজস্থানের রাজনীতি নিয়েই থাকতে। কারণ তাঁর লক্ষ্য জয়পুরের কুর্সি।