(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
নিছক সৌজন্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি। ৮ মাস আগে বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মুখোমুখি হওয়ার পর সরকারি ভাবে এ কথাই জানিয়েছিল সাউথ ব্লক। কিন্তু কিছুটা বিস্ময়কর ভাবে এত দিন পর বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের শীর্ষতম পর্যায় থেকে চিনকে এ কথা বলা সত্ত্বেও বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কার্যত তোয়াক্কা করেনি বেজিং। শীর্ষ নেতাদের কথোপকথনের বিষয়টি এত দিন গোপন করে রাখাই বা হয়েছিল কেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ ধারাবাহিক ভাবে টুইট করে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রকে। তাঁর কথায়, ‘‘২০২০ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখ প্রধানমন্ত্রী চিনকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন, তারপর থেকেই তিনি এমন ভাব করছেন যেন চিনের প্রতি তাঁর সরকার খুবই কড়া। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যত ক্ষণ লাল ফৌজ রয়েছে, তিনি শি-এর সঙ্গে কোনও সমঝোতায় আসবেন না। বালিতে নৈশভোজের কথাবার্তাকে তিনি সৌজন্য বিনিময় বলে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে সৌজন্য বিনিময়ের থেকেও বাড়তি কিছু হয়েছিল। সেটা কি ঐকমত্য না চিনকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? দেপসাং এবং ডেমচক থেকে চিনা সেনা কি পশ্চাদপসরণ করল শেষ পর্যন্ত? গত তিন বছর ধরে যারা ভারতের টহলদারির এলাকাকে আটকে রেখেছে।” তাঁর কথায়, ভারত এবং চিনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এমন ভাবে এগোচ্ছে যে মনে হচ্ছে লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশে কিছুই হয়নি।”
বিজেপির তরফে ঘরোয়া ভাবে ফের পুরনো অভিযোগই ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, রাহুল গান্ধী ছাড়া সব গর্বিত ভারতীয়ই ভিডিয়োয় দেখেছেন, সেনারা কী ভাবে লাল ফৌজকে হটিয়ে দিচ্ছে। আর রাহুল তো সপরিবার চিনাদের আতিথ্য গ্রহণ করেছেন আর ফাউন্ডেশনে তাদের অর্থ নিয়েছেন।