অসমের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভুবনেশ্বর কলিতা। —ফাইল চিত্র।
এআইসিসি ও অসম প্রদেশ কংগ্রসেকে অন্ধকারে রেখে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অসমের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ভুবনেশ্বর কলিতা। ৩০ জুলাই ইস্তফা দিয়ে দল ছেড়েছিলেন সঞ্জয় সিংহ। সস্ত্রীক যোগ দেন বিজেপিতে। কলিতা এখনও কংগ্রেস থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফা না দিলেও তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে দল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে লেখা একটি চিঠি আপলোড হয়েছে। যদিও কলিতা পরে জানান, রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিলেও দল ছাড়েননি। বিবৃতিটি ভুয়ো। পদত্যাগের কারণ নিয়ে তিনি পরে সব খুলে বলবেন।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতায় আজ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ কলিতা, সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা ও অম্বিকা সোনিরা অধিবেশন স্থগিত রেখে আলোচনার দাবি তুলে নোটিস দেন। অনুমতি দেননি চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বরং জানান কলিতা ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণও করেছেন।
টুইটারে পদত্যাগের ঘোষণার পাশাপাশি একটি চিঠিতে কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছেন কলিতা। তাতে লেখা, জনমতের বিপক্ষে গিয়ে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে কংগ্রেস আত্মহত্যা করতে চলেছে। তিনি এই কাজে কিছুতেই কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারেন না। চিঠিতে লেখা, ‘‘দল আমায় হুইপ জারি করতে বললেও তা জনমতের বিপক্ষে যাবে। খোদ নেহরুও ৩৭০ ধারার বিপক্ষে ছিলেন। দলের নেতৃত্বহীনতা, দিশাহীনতায় আমি ও আমার মতো অনেকেরই মোহভঙ্গ হয়েছে। কংগ্রস দল নিজেকে ধ্বংস করতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি আর এই দলে থাকতে ইচ্ছুক নই।’’ এই বিবৃতির পরে কলিতার সমালোচনা করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ‘‘কলিতা সুবিধাবাদী।’’