দ্রৌপদী মুর্মু ও অধীর চৌধুরী
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে অনুপযুক্ত প্রয়োগ করার জন্য ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শুক্রবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। চিঠিতেও তিনি জানিয়েছেন, মুখ ফসকেই বেরিয়ে গিয়েছে ওই শব্দটি।
বুধবার সংসদ ভবনের বিজয় চকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার দাবি নিয়ে বলতে গিয়ে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন অধীর। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই অধীর জানিয়েছিলেন, মুখ ফসকেই ওই শব্দটি বলে ফেলেছেন। তিনি বাংলাভাষী। হিন্দিতে দখল নেই। তাই ওই শব্দটি ব্যবহার করে ফেলেছেন। তা-ও মাত্র এক বারই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চাওয়ারও সময় চেয়েছেন তিনি।
কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। এর পরেই শুক্রবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন অধীর। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আপনি যে পদে রয়েছেন, সেই পদের বর্ণনা দিতে গিয়ে ভুলবশত আমি যে শব্দটি ব্যবহার করেছি, তার জন্য গভীর ভাবে দুঃখিত আমি। আমি আপনাকে জানাতে চাই, মুখ ফসকে ওই শব্দটি বলে ফেলেছি। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমায় ক্ষমা করে দিন।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অধীরের মন্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়েছিল সংসদ। বেলা ১২টা নাগাদ লোকসভায় অধিবেশন শুরু হতেই সনিয়াকে আক্রমণ শানাতে থাকেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী, আপনার দলের পুরুষ নেতা রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন। সনিয়া গাঁধী আপনি এতে ছাড়পত্র দিয়েছেন। সনিয়া গাঁধী আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’’ যদিও সনিয়াই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে অধীরকে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেন। সাংবাদিকদেরও তিনি বলেন, ‘‘অধীর তাঁর মন্তব্যের জন্য ইতিমধ্যেই দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’’