রাহুল গাঁধী
উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবির পর রাহুল গাঁধীর গায়ে যাতে আঁচ না লাগে, সে জন্য নিজেদেরই এগিয়ে দিয়ে আসরে নামলেন কংগ্রেস নেতারা।
সভাপতি পদে অভিষেক না হলেও দলের ভার রাহুলের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। সর্বশক্তি দিয়ে লড়েও উত্তরপ্রদেশে হারের মুখ দেখতে হয়েছে রাহুলকে। গোয়া-মণিপুরে বিজেপি সরকার গড়ার পর এখন পঞ্জাব ছাড়া হাতে কিছু নেই। এই অবস্থায় বিরোধী দল তো বটেই, খোদ কংগ্রেস নেতারাও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের নম্বর বাড়াতেই রাহুলের হয়ে মুখ খুলে এগিয়ে এলেন এক ঝাঁক কংগ্রেস নেতা। নিজেরাই পদত্যাগ করে হারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিতে উদ্যোগী তাঁরা।
ওড়িশায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারের জন্য গত কালই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছিলেন বি কে হরিপ্রসাদ। রাহুল যা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার আগে মুম্বই পুরসভার হারের জন্য সঞ্জয় নিরুপমও একই পথ ধরেছিলেন। আর আজ উত্তরপ্রদেশে হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে ইস্তফার ‘ইচ্ছা প্রকাশ’ করলেন রাজ বব্বর। পরে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেন, তিনি এখনও ইস্তফা দেননি। শুধুমাত্র হারের দায়িত্ব নিয়েছেন। বব্বরের মতে, ‘‘নেতৃত্ব আমাদের মতো টিমের উপরেই ভরসা রাখেন। হারের দায় তাই আমাদেরই।’’
আরও পড়ুন: ফের সংগঠনে বদলের ডাক রাহুলের মুখে
আসলে মাস কয়েক আগেও যে বিরোধী দলগুলি মোদীর বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার কথা বলছিল, এখন তাদের অনেকেরই বক্তব্য কংগ্রেসের নেতৃত্ব গাঁধী পরিবারের বাইরে কাউকে দিলে যদি কিছু হয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা জানেন, অতীতে যত বার নেহরু-গাঁধী পরিবারের রাশ আলগা হয়েছে, ততই কংগ্রেস টুকরো হয়েছে। দলকে বাঁচাতেই গাঁধী পরিবারকে দরকার। আর দল বাঁচলেই নিজেরা ‘বাঁচবেন’।
কংগ্রেসের এক বিক্ষুব্ধ নেতা এ দিন বলেন, আসলে রাজ বব্বররা ইস্তফার কথা বলে নিজেদেরই গদি বাঁচাতে চাইছেন। যাতে ইস্তফা দেওয়ার কথা বললে রাহুল তা অগ্রাহ্য করে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এ ভাবে চললে দলের সাংগঠনিক কাঠামো কোনও দিনই বদল করা যাবে না। গতকাল সংগঠনে বদলের যে কথা বলেছিলেন রাহুল, সেটি করতে হলে তাঁকে নির্দয়
হতেই হবে।