National Education Policy

‘মোদীর লক্ষ্য বেসরকারিকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ’! শিক্ষা খুনের অভিযোগ সনিয়ার

কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, অতিমারি পরিস্থিতিতে বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই শুধু সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়েই প্রকাশিত হয়েছিল ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫৭
Share:
সনিয়া গান্ধী।

সনিয়া গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির সমালোচনা করে গত কয়েক বছর ধরেই নানা প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। এ বার দলের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সরাসরি অভিযোগ করলেন, তিনটি গোপন উদ্দেশ্যপূরণের লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের এই পদক্ষেপ!

Advertisement

মোদী সরকারের শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করে সোমবার সনিয়া বলেন, ‘‘এর মূল লক্ষ্য হলো ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, বেসরকারি পুঁজি এনে শিক্ষাব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণ ও আউটসোর্সিং এবং পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকীকরণ।’’ তাঁর অভিযোগ, তিনটি ‘সি’ (কেন্দ্রীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ বা সেন্ট্রালাইজ়েশন, কমর্শিয়ালাইজ়েশন এবং কমিউনালাইজ়েশন)-র উপর নির্ভর করো কেন্দ্রের শিক্ষানীতি পরিচালিত হচ্ছে।

এর পরেই কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে খুন করার অপচেষ্টাকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, অতিমারি পরিস্থিতিতে বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই শুধু সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়েই প্রকাশিত হয়েছিল ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’। যেখানে শব্দের চাতুর্য রয়েছে, কিন্তু সরকারি অর্থ সংস্থানের দিশা নেই। নতুন শিক্ষানীতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে জোর দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সনিয়ার দল। তাদের বক্তব্য, এই বিষয়টি ধনী ও গরিব ঘরের পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজনের সৃষ্টি করবে।

Advertisement

সনিয়া সোমবার বলেন, ‘‘কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির শিক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ড’ (সিএবিই)-র বৈঠক ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর ডাকাই হয়নি। এ ভাবেই রাজ্যগুলির উপর একতরফা ভাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-র ২০২৫ সালের নির্দেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা খর্ব করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সনিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement