পবন খেরাকে দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। — ফাইল ছবি।
রায়পুরগামী বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর দিল্লি বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্র পবন খেরাকে। তাঁকে অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পবন। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বারাণসী, লখনউ, অসমে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। শীর্ষ আদালতকে পবন জানান, তাঁকে রায়পুরগামী বিমান থেকে নামিয়ে অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পবন আদালত থেকে রক্ষাকবচেরও আবেদন করেছেন। দুপুর ৩টেয় এই মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সতীর্থদের সঙ্গে দিল্লি থেকে রায়পুর যাচ্ছিলেন পবন। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে নির্দিষ্ট ইন্ডিগোর বিমানের আসন গ্রহণ করার পর তাঁকে বিমানকর্মীরা এসে জানান, তাঁর সঙ্গে ডিপিসি দেখা করবেন। তাই নীচে নামতে হবে। তাঁকে রায়পুরগামী বিমানে নেওয়ার অনুমতি নেই বলেও জানানো হয়। পবন নীচে নামেন। তাঁর পিছু পিছু বিমান থেকে নেমে যান কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা প্রমুখ। তাঁরা টারম্যাকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
সম্প্রতি, একটি সাংবাদিক বৈঠকে পবন প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদী বলে অভিহিত করেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি পবনের গ্রেফতারির দাবি তোলে। দায়ের হয় এফআইআর। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই কারণেই পবনকে এ ভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই সূত্রেই তাঁকে অসমের পুলিশ গ্রেফতার করল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি ভয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে এ সব পাগলামো করছে।
পবনকে অন্যায় ভাবে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ইন্ডিগোর ওই বিমানের সামনেই টারম্যাকে বসে কংগ্রেসের নেতারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সময়ই অসম পুলিশ এসে গ্রেফতার করে পবনকে। পবনকে বাসে তোলা হয়, সেই সময় তাঁর সঙ্গেই যান রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালাও। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করতে থাকেন কংগ্রেসের আর এক মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে।