ডিকে শিবকুমার।—ফাইল চিত্র।
জামিন পেয়েই স্বমহিমায় ফিরলেন কংগ্রেসের ‘ট্রাবলশুটার’ ডিকে শিবকুমার। দিল্লি হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলে বুধবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ তিহাড় জেল থেকে বেরোন তিনি। আর জেলের বাইরে পা রেখেই দলীয় সদস্যদের আশ্বস্ত করে জানিয়ে দেন, ‘‘আমি এসে গিয়েছি।’’
দীর্ঘ ৫০ দিন তিহাড় জেলে বন্দি থাকার পর ২৫ লক্ষ টাকার বন্ডে, বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট ডিকে শিবকুমারের জামিন মঞ্জুর করে। তার পরই জেলের বাইরে বেরিয়ে স্বমহিমায় তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি হাইকোর্ট আমার জামিন মঞ্জুর করেছে। বিপদের সময় যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এ বার আমি এসে গিয়েছি।’’
মঙ্গলবার তিহাড়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গাঁধী। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিবকুমার বলেন ‘‘আমাকে সাহস জোগাতে এতদূর ছুটে এসেছিলেন। ওঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’
আরও পড়ুন: ‘প্রেসিডেন্সিতে সবাই উচ্চবর্ণের, জেএনইউ’তে আমার জাতপাতের চেতনা, আর হার্ভার্ড শেখাল কঠোর পরিশ্রম’
আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কর ফাঁকি এবং কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জেরা করা হয় শিবকুমারের ২৩ বছরের মেয়ে ঐশ্বর্যাকেও। ২০১৩-য় এক কোটি টাকার সম্পত্তি থাকলেও ২০১৮-য় তা বেড়ে ১০০ কোটি টাকা হল কী করে, তাঁর কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ম্যাজিক ফিগার থেকে পিছিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কংগ্রেসের
শিবকুমার যদিও শুরু থেকেই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭-য় রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের সমস্ত কংগ্রেস বিধায়ককে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে ঘোড়া কেনাবেচার সুযোগ পায়নি বিজেপি। সেই কারণেই গোয়েন্দা লাগিয়ে প্রতিশোধ মেটাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁকে সমর্থন করেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। সোমবার তিহাড়ে কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা গিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই শিকার শিবকুমার।