National News

প্রতিবাদ মানেই দেশদ্রোহ! মোদীকে খোঁচা সিঙ্ঘভির

অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির অভিযোগ, তথ্য সুক্ষা বিলের মাধ্যমে নাগরিকের অধিকারের উপরে আরও হস্তক্ষেপের বন্দোবস্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

দেশদ্রোহের সংজ্ঞা বা আইনি ব্যাখ্যা কোনওটা না মেনেই মোদী সরকার প্রতিবাদীদের হয়রান করছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, তথ্য সুক্ষা বিলের মাধ্যমে নাগরিকের অধিকারের উপরে আরও হস্তক্ষেপের বন্দোবস্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

কলকাতায় শনিবার সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘ছয়ের দশকে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, কারও বাক্যের উপর নির্ভর করে তাঁকে দেশদ্রোহী বলা যায় না। দেশদ্রোহের অর্থ দেশের বিরুদ্ধে কিছু করা। জওহরলাল নেহরুর বিখ্যাত উক্তি ছিল, তুমি যা বলছ, আমি তার চূড়ান্ত বিরোধী হতে পারি। কিন্তু তোমার সে কথা বলার অধিকার রক্ষার জন্য আমি শেষ পর্যন্ত লড়ব। মোদী সরকার এই নীতি থেকে সরে এসেছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনকে থামাতে না পেরে তারা আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী তকমা দিচ্ছে।’’

সিঙ্ঘভি এ দিন আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করায় নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা বিপন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বলে নাগরিকের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে। কেন্দ্র তখন বলেছিল, তারা আইনি রক্ষাকবচের কথা ভাবছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রক্ষাকবচ পাওয়া যায়নি। এখন তথ্য সুরক্ষা বিল এনে নাগরিকের তথ্যে আরও নাক গলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই বিলে বলা হয়েছে, কোনও স্বশাসিত সংস্থা নয়, সরাসরি কেন্দ্রই নাগরিকের কোন তথ্য গোপনীয়, তা বিচার করবে। এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস সংসদে প্রতিবাদ করবে বলেও এ দিন জানান সিঙ্ঘভি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতে গিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলবেন ট্রাম্প

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement