মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল এবং সিপিএম— উভয়েই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় রয়েছে। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও একই ভাবে বঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিরোধী। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে এক বার শেষ চেষ্টা করতে আগ্রহী কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘আসলে পশ্চিমবঙ্গে চারটি সুরকে মেলাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরী, কংগ্রেস হাইকমান্ড ও সিপিএম। কংগ্রেস হাইকমান্ড জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে মমতার সঙ্গে আসন সমঝোতা চাইলেও অধীর রাজ্য রাজনীতির স্বার্থে তা চান না। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন মিটলে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হবে।’’
মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত হলেও তা নিয়ে আলোচনা এগোয়নি। উল্টে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-কে আসন না ছাড়ায় অখিলেশ যাদব কংগ্রেসকে ‘চালু পার্টি’ বলে নিশানা করেছেন। তিনি বিজেপি, কংগ্রেস দুই দলকেই লোকসভায় হারানোর ডাক দিয়েছেন। অখিলেশ আজও বলেছেন, কংগ্রেস চায় সমাজবাদী মতাদর্শ মুছে যাক। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরীওয়ালও বিধানসভা ভোটের প্রচারে একই সঙ্গে বিজেপি-কংগ্রেসকে নিশানা করছেন। কংগ্রেস এখন জোট ছেড়ে বিধানসভা ভোট নিয়ে ব্যস্ত বলে নীতীশ কুমার কটাক্ষ করেছেন।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ইতিমধ্যেই নীতীশের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা বলবেন অখিলেশের সঙ্গেও। তবে তাঁরও কংগ্রেস সম্পর্কে কটূ কথা বলা উচিত নয়। লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতার কথা হলেও রাজ্য স্তরে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়নি। আঞ্চলিক দলগুলিকে বুঝতে হবে, কংগ্রেস পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সাফল্য পেলে তা ‘ইন্ডিয়া’র ‘ফেভিকল’ হিসেবে কাজ করবে। কংগ্রেসের ভাল ফলে বিরোধী জোটও মজবুত হবে। ভোটের পরেই বিরোধী জোট নিয়ে সক্রিয় হবে কংগ্রেস।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, পাঁচ রাজ্যে ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে। এই ভোটের পরেই ‘ইন্ডিয়া’-র সদস্যদের উচিত বৈঠক ডেকে মতভেদ দূর করে ফেলা, যাতে এর প্রভাব লোকসভা ভোটে না পড়ে।