প্রতীকী ছবি।
উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০% সংরক্ষণ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুপ্রিম কোর্ট মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ার পরে প্রথমে তাকে স্বাগত জানালেও পরে নিজের অবস্থান পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। কারণ দক্ষিণ ভারতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা হচ্ছে।
উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য সংরক্ষণ বা ইডব্লিউএস কোটা থেকে তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি-ভুক্ত গরিবদের বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি বলে কংগ্রেসের একাংশের মত। কিন্তু উল্টো দিকে কংগ্রেসেরই আর একটি অংশের মত, সংরক্ষিত আসনের হার ক্রমশ বাড়তে থাকলে তথাকথিত উচ্চবর্ণ বা জেনারেল ক্যাটেগরির ছেলেমেয়েরা কোথায় যাবেন? মেধার বিচারই বা হবে কী ভাবে?
সুপ্রিম কোর্ট ইডব্লিউএস কোটার পক্ষে রায় দেওয়ার পরে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই রায়ের পর্যালোচনা চেয়ে আদালতে আর্জি জানানো হবে। কংগ্রেস প্রথমে রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, মনমোহন সরকারই সিনহো কমিশন গঠন করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস ইডব্লিউএস কোটার পক্ষে হলেও তা থেকে এসসি, এসটি, ওবিসি-দের বাদ দেওয়ার কথা বলেনি। মোদী সরকারের আইনে তাঁরা বাদ পড়েছেন। এর পরেই কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। তামিলনাড়ুর নেতা পি চিদম্বরম আজ বলেন, “এআইসিসি-র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এসসি, এসটি, ওবিসিদের ইডব্লিউএস কোটা থেকে বাদ দেওয়ায় মানুষ উদ্বিগ্ন। সিনহো কমিশন বলেছিল, দারিদ্রসীমার নীচের ৮২% এসসি, এসটি, ওবিসি। গরিবরা একটি শ্রেণি। আইন কি ৮২% গরিবকে বাদ দিতে পারে? এই প্রশ্ন খতিয়ে দেখা দরকার।” উল্টো দিকে পঞ্জাবের সাংসদ মণীশ তিওয়ারির প্রশ্ন, “সংরক্ষিত আসনের হার ৬০%, বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিন তা বাড়ছে। জেনারেল ক্যাটেগরির পড়ুয়ারা কোথায় যাবেন? মেধার বিচারকী ভাবে হবে? এটা কি বিপরীত বৈষম্য নয়?”