Sushmita Dev

Congress: বিকল্প হবেন দিল্লির নৈঋতা! সংশয় কংগ্রেসে

সুস্মিতা দল ছাড়ার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস বলছে, তেমন বড় কোনও ক্ষতি হবে না। তুলে আনা হবে অনেক সুস্মিতাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২১ ০৫:৫৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সুস্মিতা দেবকে খোয়ানোর ধাক্কা সামলাতে অসমের প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা তড়িঘড়ি হাজির করলেন করিমগঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ললিতমোহন শুক্লবৈদ্যর নাতনি নৈঋতা জয় শুক্লাকে। দিল্লি থেকে এনে আজ দলে যোগ দেওয়ানো হল তাঁকে। নৈঋতা দিল্লির রামজস কলেজের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। বরাকের যোগসূত্র থাকলেও এই দিল্লিবাসিনী অসমিয়ায় সড়গড় নন। অসমের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কেও তিনি সম্যক ওয়াকিবহাল, এমন খবর নেই।

Advertisement

ফলে নৈঋতার কংগ্রেসে যোগদানে রাজনৈতিক ফায়দা কতটা হবে এবং কংগ্রেসে, বিশেষ করে বরাকে তিনি সুস্মিতার যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারবেন কি না সেই সম্পর্কে নিশ্চিত নন দলের নেতারাই। সুস্মিতা দল ছাড়ার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস বলছে, তেমন বড় কোনও ক্ষতি হবে না। তুলে আনা হবে অনেক সুস্মিতাকে। কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী সুস্মিতার শূন্যস্থান সহজে পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুপেন বরা বলেছেন, “নৈঋতার সঙ্গে আগে থেকেই দলের সম্পর্ক ছিল। আমি এআইসিসিতে থাকার সময় থেকেই নৈঋতা দলের সদস্য হতে ইচ্ছুক ছিলেন। শীঘ্রই দলের কোনও একটি দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁকে। রাজ্যের মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করবেন নৈঋতা।”

Advertisement

নৈঋতা বলেন, “যুব প্রজন্মের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অসমের মতো সম্প্রীতির রাজ্যে ধর্ম ও রাজনীতিকে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজে রাজনৈতিক পরিবার থেকে এলেও শুধুমাত্র বংশানুক্রমে সেই ধারা এগিয়ে নিতে চাইনি। নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছি।”

কংগ্রেস সিএএ-বিরোধী আন্দোলন চালালেও সুস্মিতার নেতৃত্বে বরাক কংগ্রেস সিএএর পক্ষে থাকায় অসমে কংগ্রেসকে দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলতে হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে কোন রাস্তায় হাঁটবেন নৈঋতা? তিনি পাশ কাটিয়ে বলেন, “এ ব্যাপারে দলের মত দলই বলবে। যে জিনিস মানুষকে খুশি করতে পারছে না, তা জোর করে চাপিয়ে না-দিয়ে, মানুষ যাতে খুশি থাকেন সেটা করাই ভাল।”

সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে আজ জনা ত্রিশেক কংগ্রেস নেতা দলত্যাগের কথা ঘোষণা করেন৷ সুস্মিতা শিলচরে এলেই তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন৷ এ দিকে সুস্মিতার দলত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলচরের কংগ্রেস অফিসে আজ কয়েকশো নেতা-কর্মী সমবেত হয়ে দলকে শক্তিশালী করার শপথ নেন৷ প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপ তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সন্তোমোহন দেবের কন্যাকে বিঁধে বলেন, "সাংসদ পদ ছাড়া আড়াই বছর থাকতে পারলেন না! পালিয়ে গেলেন অন্য দলে!" এনেক কংগ্রেস কর্মী অভিযোগ করেন, সুস্মিতা দলে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন৷ কেউ নিজের মতামত জানাতে পারতেন না৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement