Congress

Sonia Gandhi: সনিয়ার ইডি-তে হাজিরার দিনেও পথে নামবে দল

ওই সময় সংসদের অধিবেশনও চলবে। ফলে সংসদের ভিতরেও সিবিআই-ইডির অপব্যবহার নিয়ে কংগ্রেস সরব হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

আমজনতার সমস্যা নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের রাস্তায় নামতে বিশেষ দেখা যায় না বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু রাহুল গান্ধীকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিয়ম করে কংগ্রেসের নেতারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন। এবার ২১ জুলাই সনিয়াকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও একই ভাবে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রতিবাদে নামার সিদ্ধান্ত নিল। ওই সময় সংসদের অধিবেশনও চলবে। ফলে সংসদের ভিতরেও সিবিআই-ইডির অপব্যবহার নিয়ে কংগ্রেস সরব হবে।

Advertisement

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা অবশ্য জানিয়েছেন, শুধু সনিয়াকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ নয়। রান্নার গ্যাস থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, বেকারত্ব, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’-র মতো বিষয় নিয়েও তাঁরা সংসদে আলোচনা দাবি করবেন। আগামী সোমবার থেকে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার রণকৌশল ঠিক করতে আজ, কংগ্রেসের সংসদীয় ‘স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ’ বৈঠকে বসে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রাহুল-সনিয়াকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদই কংগ্রেস নেতাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুলকে একই সময়ে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সনিয়া যেতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে নতুন করে শারীরিক সমস্যা দেখা না দিলে তিনি ২১ তারিখ ইডি-র দফতরে যাবেন। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভানেত্রী এক জন বাঘিনী। উনি এ সবে ভয় পান না। উনি এ সব অনেক দেখেছেন। ইডি কতক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সে তাদের ব্যাপার।’’

Advertisement

সংসদের অধিবেশনের শুরুর আগে রবিবার সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী নিয়ম মাফিক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে কংগ্রেস রান্নার গ্যাসের দাম, মূল্যবৃদ্ধি, অগ্নিপথ নিয়ে তরুণদের ক্ষোভ, বেকারত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ, বিদ্বেষমূলক বিবৃতি, টাকার পতন, চিনের জমি দখল, সিবিআই-ইডির অপব্যবহার, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অস্থিরতার ফলে ঝুঁকি, অরণ্যের অধিকার আইনে সংশোধনের মতো বিষয়ে সংসদে আলোচনা চাইবে। অগ্নিপথ নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করলেও দলের সাংসদ মণীশ তিওয়ারি এর পক্ষে। এদিনের বৈঠকে তিনি অবশ্য এ বিষয়ে নীরব ছিলেন বলে সূত্রের খবর।

সর্বদলীয় এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধীদের কথা শোনেন না, তা নিয়েও খড়্গে আজ প্রশ্ন তুলছেন। বলেন, ‘‘আগের প্রধানমন্ত্রীরা পুরো বৈঠকে বসতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেষ বেলায় দু’তিন মিনিটের জন্য আসেন। কারও কথা শোনেন না। নিজের কথা বলেন। তারপরে সকলের সঙ্গে ছবি তুলে চলে যান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement