কুস্তিগির বিনেশ ফোগত। —ফাইল ছবি।
হরিয়ানায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর সরাতে বিধানসভা ভোটে ময়দানে কুস্তিগির বিনেশ ফোগতকে নামানোর কথা ভাবছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সবটাই অবশ্য নির্ভরশীল গত সপ্তাহে প্যারিস থেকে ফেরা বিনেশের মতামতের উপরে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিনেশ নিজে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।
হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ। আজ থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। বিজেপিকে সরিয়ে কংগ্রেস এ বার ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে আশাবাদী। একমাত্র বাধা, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভূপিন্দর সিংহ হুডা, কুমারী শৈলজা ও রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা— রাজ্যে কংগ্রেসের তিন প্রধান স্তম্ভ আলাদা আলাদা ভাবে নিজের মতো জনসভা করছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুডা হয় নিজে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, না হলে ছেলে দীপেন্দরকে গদিতে বসাতে চান। দলিত নেত্রী শৈলজা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজ্য রাজনীতিতে ফিরতে আগ্রহী। সুরজেওয়ালা রাহুল গান্ধীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেস নেতৃত্বের চিন্তা, শেষবেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মধ্যপ্রদেশের মতো হরিয়ানাতেও জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হবে না তো?
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের একাংশ চাইছেন বিনেশ ফোগতকে প্রার্থী করা হোক। সামান্য বেশি ওজনের জন্য অলিম্পিক্সের ফাইনাল থেকে বাতিল হয়ে যান বিনেশ। হারান পদকও। কিন্তু হরিয়ানায় তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তা ছাড়া তিনি কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদেরও অন্যতম মুখ ছিলেন। বিনেশের জেঠতুতো বোন ববিতা কুমারী আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বিনেশ প্যারিস থেকে ফেরার সময় কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর গুডা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে বিনেশ দিল্লিতে ভূপিন্দর, দীপেন্দরদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও ভূপিন্দর সিংহ হুডা বিনেশের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে নারাজ।
হরিয়ানায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক দীপক বাবরিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, বিনেশ রাজনীতিতে আসতে চাইলে কংগ্রেস তাঁকে অবশ্যই ভোটে প্রার্থী করবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিনেশ যদি ভোটে না-ও লড়েন, তা হলেও কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাঁকে ক্রীড়া বিষয়ক কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে দেখা যাবে।