প্রতীকি ছবি।
রাজস্থান বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল শিশু বিবাহ নথিভুক্তিকরণ বিল। প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিরোধী বিজেপি-র। শুক্রবার ধ্বনি ভোটে পাশ হয় রাজস্থান বাধ্যতামূলক বিবাহ নথিভুক্তিকরণ (সংশোধনী) বিল ২০২১। এর ফলে কোনও নাবালিকার বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে বিবাহ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মা-বাবা বা অভিভাবককে বাধ্যতামূলক ভাবে সরকারের কাছে জমা করতে হবে। এই বিল নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার বাল্যবিবাহকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পথে হাঁটছে?
প্রতিবাদে শুক্রবার বিধানসভা ওয়াকআউট করে বিজেপি। বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্ন, এমন একটি বিল আনার কী প্রয়োজন ছিল? অশোক গহলৌত সরকার কি ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে? পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের জেরেই আইন সংশোধন করতে হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহোটি জানিয়েছেন, এই বিল পাশ হলে তা হবে বিধানসভার জন্য একটি কালো দিন। বিধানসভা কি আমাদের বাল্যবিবাহে সম্মতি দেওয়ার অনুমতি দেয়? হাত তুলে বিলের সমর্থনে দাঁড়ানোর অর্থ হল বাল্যবিবাহে সমর্থন দেওয়া। বিধানসভার ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায় হিসেবে সূচিত হবে।
যদিও বিজেপি-র যুক্তি মানতে নারাজ শাসক কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজস্থানের পরিষদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল বলেছেন, ‘‘বিজেপি বলছে এতে বাল্যবিবাহকে নৈতিক সম্মতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সংশোধনীর কোথাও এমন কথা বলা নেই। বিয়ের শংসাপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটা না থাকলে বিধবাদের জন্য সরকারি যে সমস্ত সরকারি প্রকল্প আছে, তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় বহু মানুষকে।’’
বিধানসভায় বিল পাশের পর গহলৌত সরকারকে প্রতি জেলায় নথিভুক্তিকরণ আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে।