ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি-সহ একাধিক অভিযোগে ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের বিরোধিতা করে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধী দল বিজেপি। শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত, প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে বিতর্ক চলার পরে ধ্বনিভোটে পরাস্ত হল সেই প্রস্তাব। সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে ‘সুরক্ষিত’ রইল ভূপেশ বঘেলের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারও।
বুধবারেই ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর থেকে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ১০৯ দফা অভিযোগপত্র দাখিল করে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিজেপি বিধায়কেরা। প্রসঙ্গত, সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি, চাল দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ২০০০ কোটি টাকার আবগারি দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী বঘেলও যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
শুক্রবার সকালেও একটি অর্থ তছরুপের ঘটনার তদন্তে ছত্তীসগঢ় প্রদেশ কংগ্রেসের একটি থানা এবং শীর্ষস্থানীয় কয়েক জন আইএএস আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বঘেল ইডির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে সরব হন। সরকারের কাছে কোনও উত্তর নেই, এমনটা দাবি করে এক সময় বিধানসভার কক্ষত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়কেরা। ভোটাভুটির সময় বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ৯০ জন বিধায়কের মধ্যে ৭১ জন। বিজেপির মাত্র ১৩ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। ধ্বনিভোটে খারিজ হয়ে যায় বিজেপির আনা অনাস্থা প্রস্তাব।