ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী লন্ডনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী জমানায় ‘ডিপ স্টেট’-এর বিপদের কথা বলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজেপি-আরএসএসের লোকেদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢুকিয়ে ভারতের ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংসকরা হচ্ছে। আজ মোদী সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোদী জমানায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণার সঙ্গে যুক্ত কোথায় কোন প্রতিষ্ঠানে আরএসএসের কোন ব্যক্তিকে বসানো হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশকরল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গঠনমূলক কাজ, নিরপেক্ষ চিন্তাভাবনার বাধা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাথায় বিজেপি-সঙ্ঘের লোক চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি মোদী সরকারের রাজনৈতিক পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেনের অভিযোগ, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব হিস্টরিকাল রিসার্চ’-র অধ্যক্ষ হিসেবে ভাই সুদর্শন রাওকে নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি আরএসএসের অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনা-র হায়দরাবাদ শাখার প্রধান ছিলেন। কিন্তু ইতিহাসবিদ হিসেবে তাঁর কোনও পরিচিতি নেই। আরএসএসের মুখপাত্র পাঞ্চজন্যর প্রাক্তন সম্পাদক বলদেব শর্মাকে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে। মৌলানা আজাদ রাষ্ট্রীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়েরচ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ও ঘোষিত সমর্থক জাফর সরেশওয়ালাকে। পুণের এফটিআইআই-এর চেয়ারম্যান হিসেবে গজেন্দ্র চৌহানকে নিয়োগ করার পরে বিরোধিতা হয়েছিল। এবিভিপি-র সঙ্গে জড়িত সঞ্জয় দ্বিবেদীকে আইআইএমসি-র ডিজি করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধেকে আইসিসিআর-এর প্রধান, আরএসএসের ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের জাতীয় অধ্যক্ষ সচ্চিদানন্দ জোশীকে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টসের সচিব নিয়োগ করা হয়েছে। গোটা দেশেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েআরএসএসের লোকদেরইউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থনীতি, বিদেশনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে আট বছরে মোদী সরকারের আটটি ব্যর্থতা নিয়ে প্রচার পুস্তিকাও প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। হিন্দি বলয়ের প্রচারের জন্য তা প্রাথমিক ভাবে হিন্দিতেছাপানো হয়েছে।