প্রতীকী ছবি।
বিতর্ক ওঠার পরে ২০১৭ সালের বাজেটে চালু করা ‘নির্বাচনী বন্ড’ বন্ধ করার দাবি জানাল কংগ্রেস।
সনিয়া গাঁধীর দলের কথায়, কালো টাকাকে বিজেপির তহবিলে টানতেই সব নিয়ম উপেক্ষা করে মোদী সরকার এই বন্ডের ফন্দি এঁটেছে। কারা তাতে বিনিয়োগ করেছে, তাদের নাম ও বিনিয়োগের পরিমাণও প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
দু’বছর আগের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ‘নির্বাচনী বন্ড’ চালু করেছিলেন। এ জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সক্রিয় সহযোগিতা এবং ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইন’ সংশোধনেরও প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু নথিতে দেখা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার এক রকম চাপিয়ে দিয়ে এই ‘নির্বাচনী বন্ড’ চালু করেছিল। বাজেটের মাত্র চার দিন আগে অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি চার লাইনের একটি ই-মেল করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নরকে জানানো হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরের কর্মদিবসেই জবাবি চিঠিতে সরকারের প্রস্তাবিত ‘নির্বাচনী বন্ড’-এর বিরোধিতা করে বলে, এ জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের সংশোধন করা হলে সেটি একটি ‘খারাপ নজির’ হয়ে থাকবে। ‘নির্বচনী বন্ড’-এর বিরোধিতার কারণ হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলে, এই বন্ড চালু হলে অর্থ নয়ছয় বাড়বে এবং ব্যাঙ্কনোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হবে।
আরও পড়ুন: হাতে ড্রোন, বিদেশি অস্ত্র, ক্ষত সারিয়ে মাওবাদীরা বড় হামলায় তৈরি, বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট
সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এত কড়া মন্তব্যকে সচরাচর গুরুত্ব দেওয়া হলেও এ ক্ষেত্রে তাকে একেবারেই ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয়নি। কেন্দ্রীয় রাজস্বসচিব হাসমুখ আঢ়িয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জবাবি চিঠির ওপর সে দিনেই নোট দেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে না-জানার কারণেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ, যাকে গুরুত্ব দেওয়া অর্থহীন’। বিদ্যুৎগতিতে সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে ছেড়ে দেন অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব এবং অর্থমন্ত্রী। ফলাও করে বাজেটে তার ঘোষণাও হয়ে যায়।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও নির্বাচনী বন্ড নিয়ে টুইটে সরব হন।