ফাইল চিত্র।
অযোধ্যায় রামমন্দিরকে সামনে রেখে বিজেপি নেতৃত্ব ২০২২-এর উত্তরপ্রদেশ ভোট ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে, জানাই ছিল। তাতে জল ঢেলে দিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের জমি কেলেঙ্কারিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম জড়িয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস।
অযোধ্যায় ২ কোটি টাকায় জমি কিনে পাঁচ মিনিটের মধ্যে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রে ট্রাস্টকে ১৮ কোটি টাকায় বেচে দেওয়া হয়েছে বলে রবিবারই অভিযোগ উঠেছিল। আজ কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, ওই জমি কেনা ও বেচা, দু’টি ক্ষেত্রেই রেজিস্ট্রি অফিসে সাক্ষী হিসেবে যাঁরা সই করেছেন, সেই রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য অনিল কুমার মিশ্র এবং অযোধ্যার মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায় মোদী ও যোগীর ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, অনিল মিশ্রকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ট্রাস্টের সদস্য করেছেন। অযোধ্যার মেয়র, বিজেপি নেতা উপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর ঘনিষ্ঠ বলে সুপরিচিত। কংগ্রেসের দাবি, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত হোক।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ একে ‘রামমন্দির কেলেঙ্কারি’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছেন, “শ্রীরাম স্বয়ং ন্যায়, সত্য, ধর্ম। তাঁর নামে ধোঁকা অধর্ম।” গতকাল এসপি ও আম আদমি পার্টি এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। যোগী-রাজ্যে অন্য বিরোধীরাই ফায়দা কুড়িয়ে নেবে ভেবে আজ উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর নির্দেশে লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবাসের সামনে কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। রাজ্যে বিজেপির প্রাক্তন শরিক সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা ওমপ্রকাশ রাজভড়ও আজ মোদী-যোগীকে নিশানা করেছেন।