NCP

নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেল বিজেপি, মহারাষ্ট্র নিয়ে বলল কংগ্রেস

হারাষ্ট্রে দ্বিতীয় বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে  শপথ নিয়ে নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো স্তম্ভিত কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৫৪
Share:

কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলন। পিটিআই

ঘড়ির কাটায় ভোর ৫.৪৭। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সরকার গড়তে চলেছে, এই বিশ্বাস নিয়ে যারা ঘুমোতে গিয়েছিলেন তাঁদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে এই মুহূর্তই। কাউকে ঘুণাক্ষরেও কিছু জানতে না দিয়ে সাতসকালে মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো স্তম্ভিত কংগ্রেস। দেখে নেওয়া যাক সাংবাদিক বৈঠকে তাদের বক্তব্য:

Advertisement

কংগ্রেস এখনও আশাবাদী সরকার গঠনের বিষয়ে, মত আহমেদ পাটেলের। আস্থাভোট হলে তিনটি দলই (শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস) একসঙ্গে কাজ করবে। রাজনৈতিক ও আইনি পথেই আমরা লড়াই করব এর বিরুদ্ধে। পরবর্তী পদক্ষেপের সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শনিবার বিকেলেই। এই ধরনের ‘হঠকারিতার’ জন্যে অজিত পওয়ারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা স্থির হবে আজ বিকেলে। এনসিপি বিকেল সাড়ে চারটেয় বৈঠক ডেকেছে—জানালেন আহমেদ পাটেল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনও দেরি করিনি। সরকার গঠনের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে, ঐক্যমতে আসতে বেশ কয়েকটা ধাপ পার হতে হয়। শেষমেশ আজ দুপুরেই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা ছিল, দাবি কংগ্রেস নেতার। কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক একজোট হয়ে রয়েছেন। বাইরে রয়েছেন দু’জন। তাঁরাও শিগগির যোগ দেবেন আমাদের সঙ্গে। এর থেকে লজ্জাজনক কিছুই হয় না। বিজেপি নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই শপথগ্রহণ গণতন্ত্রের জন্যেই লজ্জা, বলছেন আহমেদ পাটেল। মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এ এক কালো দিন। একজন নেতা কারও থেকে অনুমতি না নিয়ে গোপনে রাজ্যপালের কাছে চলে গেলেন, এমনটা লজ্জাজনক। আমি আশঙ্কা করেছিলাম, এমনটা হতে পারে, বলছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা আহমেদ পাটেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement