জম্মুতে জনসভায় গুলাম নবি আজাদ। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস ছাড়ার পরে নিজের প্রথম জনসভায় গুলাম নবি আজাদ তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকেই। আজ জম্মুতে তিনি বলেছেন, যাঁরা তাঁকে ‘অসম্মান’ করতে চান, তাঁদের দৌড় টুইটার ও কম্পিউটার পর্যন্ত। তাঁরা এসএমএসে ভুয়ো খবর ছড়ান। ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সমর্থনে নিজের জেলে যাওয়ার কথা তুলে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এমনও বলেন যে, ‘‘আজকাল কংগ্রেস নেতাদের দেখি জেলে যাওয়ার আগে ডিজি বা পুলিশ কমিশনারকে ফোন করতে, যাতে এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’’ কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, আজাদকে দিয়ে আজকের সভাটি করিয়েছে বিজেপিই।
আজ আজাদ জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মত নিয়েই তাঁর নতুন দলের নাম ও পতাকা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘দলের নাম এমন হবে, যা সবাই সহজে উচ্চারণ করতে পারেন। তা মৌলানার উর্দুতেও হবে না, পণ্ডিতের সংস্কৃতেও হবে না।’’ জম্মু-কাশ্মীরের জন্য রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা, সেখানে শুধুমাত্র ভূমিপুত্রদের চাকরি ও জমি কেনার অধিকার, চাকরি তৈরি করা এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনই তাঁদের অগ্রাধিকার বলে জানান আজাদ। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফেরানো যে কার্যত অসম্ভব, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তা বুঝেই গিয়েছে। তাই অন্যান্য অ-বিজেপি দলের মতো আজাদও কাশ্মীরিদের জমি ও চাকরির অধিকার নিয়েই সরব।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অবশ্য আজাদের এ দিনের সভা সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘আমরা বিজেপির সভা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের এ দিনের জনসভার দিনক্ষণ অনেক আগে থেকে ঠিক করা ছিল। বিজেপি তা থেকে নজর সরাতে চাইছে বলেই যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের দিয়ে জম্মুতে জনসভা করাচ্ছে। বিজেপিই সেখানে লোক জোগান দিচ্ছে। এআইসিসি-র তরফে জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রজনী পাটিলের দাবি, আজাদের সভা ব্যর্থ। তবে আজাদের পাল্টা হিসেবে আজ দিল্লির সভায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রদেশ সভাপতি বিকার ওয়ানি রসুলকে দিয়ে বক্তৃতা করিয়েছে কংগ্রেস।