গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ। আসন্ন বিধানসভা ভোটে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী সন্দীপ সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন।
সন্দীপ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আতিশী বলে বেড়াচ্ছেন, আমি বিজেপির থেকে বিপুল টাকা নিয়েছি। গত ১০-১২ বছর ধরে ওঁরা (আপ নেতৃত্ব) কংগ্রেস, আমাকে এবং আমার পরিবারকে নিশানা করছেন। শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কেজরীওয়াল ওঁর বিরুদ্ধে ৩৬০ পাতার ‘দুর্নীতির প্রমাণ’ নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। সেগুলি কোথায় গেল?’’ এর পরে বিজেপি নেতা বিনয়কুমার মলহোত্রকে উদ্ধৃত করে শীলা-পুত্রের দাবি, কেজরী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে পদ্মশিবির তাঁর কাছে শীলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নথিপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।
১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে শীলা যে রাজধানীর ভোলবদলের কারিগর হিসেবে কাজ করেছিলেন, সে কথা দলমতনির্বিশেষে অনেকেই স্বীকার করেন। দিল্লি মেট্রো থেকে রাজধানীর গণপরিবহণে সিএনজি-চালিত গাড়ির প্রচলনের মতো নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় তাঁর আমলেই। দরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে নাইটক্লাবমুখী উচ্চবিত্ত, আধুনিকমনস্ক শীলা স্বচ্ছন্দ ছিলেন সকলের সঙ্গেই। পূর্ব দিল্লি থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তাঁর পুত্র সন্দীপও। ঘটনাচক্রে, ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে ওই আসনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলাকে হারিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ওই আসনে এ বার সন্দীপের ‘প্রতিশোধের লড়াই’। অন্য দিকে, নয়াদিল্লি কেন্দ্রে বিজেপি এ বার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র তথা প্রাক্তন প্রবেশকে প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনা। সম্প্রতি, নয়াদিল্লির কয়েক জন ভোটারকে টাকা বিলির অভিযোগ উঠেছে প্রবেশের বিরুদ্ধে।