—ফাইল চিত্র।
পেট্রল-ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখ খোলার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে আহ্বান জানাল কংগ্রেস।
কোভিডের ধাক্কায় রুটিরুজি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দাম বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধির চাপে সাধারণ মানুষ জেরবার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী মন্তব্য করেছেন, পেট্রল-ডিজেলের চড়া দামের জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। আজ কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘একমাত্র গডকড়ীর সাহস রয়েছে এ বিষয়ে সরব হওয়ার। তাঁর উচিত নিজের মাইক্রোফোনের আওয়াজ আরেকটু বাড়ানো। বাকি মন্ত্রীদের উচিত, নিজের মাইক্রোফোনটা চালু করা।’’ মে মাসের পর জুন মাসেও মূল্যবৃদ্ধির হার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহনসীমা, ৬ শতাংশের উপরে থেকেছে। বিরোধীরা আগামী সোমবার থেকে সংসদের অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনার দাবি তুলবেন। চিদম্বরম বলেন, ‘‘অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গেও সমন্বয় তৈরি করে সাধারণ মানুষের জন্য সুরাহার দাবি তোলা হবে।’’
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। মোদী ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। আজ রাহুল তা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নিজেও খেয়েছেন, ‘মিত্রোঁ’-দেরও খাইয়েছেন। শুধু আমজনতাকে খাবার খেতে দিচ্ছেন না।’’ চিদম্বরমেরও প্রশ্ন, ‘‘সরকার কি বলতে পারে, মানুষ খাবে কী, কর্মক্ষেত্রে কী ভাবে যাবে?” কংগ্রেস আজ অবিলম্বে রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানোর দাবি তুলেছে। চিদম্বরম বলেন, ‘‘এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি, বেশি নগদ জোগান দায়ী নয়। এর জন্য মোদী সরকারের ভুল নীতি ও অর্থনীতির পরিচালনায় ব্যর্থতা দায়ী। মন্ত্রিসভার রদবদল করে তা শোধরানো যাবে না। কারণ এই সরকারে একজনই মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীই অর্থমন্ত্রী, তিনিই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনিই ক্রীড়ামন্ত্রী।’’