Congress

পরিকল্পনা ছিল ট্রফি হাতে মোদীর ছবির, দাবি কংগ্রেসের

কংগ্রেস আগেই অভিযোগ তুলেছিল, গত রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে জয়ের কৃতিত্ব নিতেই আমদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দল হেরে যাওয়ার পরেও তিনি প্রচারের সুযোগ ছাড়তে চাননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জিতলে বিজেপি তার পুরো রাজনৈতিক ফায়দা তোলার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনতের দাবি, বিজেপির এক নেতাই তাঁকে এ কথা জানান।

Advertisement

সুপ্রিয়ার দাবি, ভারত জিতলে রাজস্থানে নির্বাচনের আগে বিজেপির সমস্ত হোর্ডিং বদলে বিশ্বকাপ জয়ের ছবি লাগানো হত। ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে, হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে খোদ নরেন্দ্র মোদীর হাসি মুখের ছবি - সহ পোস্টার তৈরির পরিকল্পনাও করে ফেলা হয়েছিল। ঠিক ছিল, ভারতীয় ক্রিকেট দলকে খোলা বাসে চাপিয়ে জয়পুর-সহ বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে ঘোরানো হবে। পুরো কৃতিত্বটাই নরেন্দ্র মোদী নিজে নিয়ে নিতেন।

কংগ্রেস আগেই অভিযোগ তুলেছিল, গত রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে জয়ের কৃতিত্ব নিতেই আমদাবাদের মোতেরায় নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দল হেরে যাওয়ার পরেও তিনি প্রচারের সুযোগ ছাড়তে চাননি। সান্ত্বনা দিতে ড্রেসিং রুমে পৌঁছে যান। অন্য দিকে, নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির জন্যই দল হেরেছে বলে রাহুল গান্ধী ভোটের প্রচারে তাঁকে 'পনৌতী' বা 'অপয়া' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।

Advertisement

সুপ্রিয়ার দাবি, জয়পুর বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে এক বিজেপি নেতার দেখা হয়। সেই বিজেপি নেতা বিশ্বকাপে ভারতীয় দল জিতলে দলের পরিকল্পনার কথা জানান। পোস্টারের ছবিও তাঁর মোবাইলে ছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক জনের কাছেই সেই ছবি রয়েছে বলে তিনি সেই ছবি দিতে চাননি। না হলে তাঁর ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

বিজেপি নেতারা এই দাবি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে 'পকেটমার', 'অপয়া' শব্দ ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশন তাঁর জবাব চেয়েছে। রাহুল আগে সেই জবাব দিন।

‘পনৌতী’ প্রশ্নে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবারের মধ্যে জবাব চেয়েছিল। রাহুল নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে শিল্পপতিদের ১৪ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুবের অভিযোগ তুলেছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তি নেই বলেও বিজেপি কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আজ বলেন, কমিশনের নোটিসের যথোচিত জবাব দেওয়া হবে। তবে রাজস্থানে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা, বিজেপির পাঁচ মুখ্যমন্ত্রী কী ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা-ও মানুষ শুনেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরার মন্তব্য, যখন বিজেপি নেতারা পাপ্পু, রাহুকাল, মূর্খদের সর্দার, জার্সিগাই, পঞ্চাশ কোটির বান্ধবীর মতো ভাষা ব্যবহার করেন, তখন প্রশ্ন ওঠে না কেন?

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “রাহুল গান্ধী সৎ নেতা। উনি সততার সঙ্গে উত্তর দেবেন। তবে বিজেপি তাঁর পরিবারের সবাইকে নিশানা করেছে। ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুকেও ছাড়েনি। এখন তা হলে বিজেপির খারাপ লাগছে কেন!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement