কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনে পড়ল কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বিক্ষোভ আন্দোলন। আর চলতি অধিবেশনে প্রতি দিনের মতো এ দিনও অব্যাহত রইল সংসদে অচলাবস্থা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকেই গাঁধীমূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। এ দিনও একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহরা। কালো পতাকা এবং হাতে কালো কাপড় বেঁধে চলে তুমুল স্লোগান। সাংসদদের সাসপেন্ড করায় মোদী সরকারকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করার পাশাপাশি নাগা চুক্তি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপিকে এ দিন একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মাত্র কয়েক দিন আগে এনএসসিএন(আইএম)-এর সঙ্গে নাগা-চুক্তি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু চুক্তির সময়ে উত্তর-পূর্বের কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের জানানোই হয়নি বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। “নাগা চুক্তিতে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীদের না জানানোতেই পরিস্কার, মোদী সরকার কারও কথাই শুনতে চায় না”—অভিযোগ করেন সনিয়া। প্রায় একই অভিযোগ করেন রাহুল গাঁধীও। তিনি বলেন, “সংসদের মধ্যে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, আর বাইরে দেশের মানুষকে। নাগা চুক্তিতে মণিপুর, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা না বলে মানুষকে অপমান করা হয়েছে।”