Adani Hindenburg Report

আদানি-কাণ্ডে জেপিসি চেয়ে ফের সরব কংগ্রেস

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টের পরে জেপিসি-র দাবি উঠবে আঁচ করেই মোদী সরকার নির্দিষ্ট সময়ের এক দিন আগেই সংসদের অধিবেশনে ইতি টেনেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দর কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে সেবি-প্রধান মাধবী পুরী বুচের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস পরিকল্পনা করেছিল, এ নিয়ে জেপিসি বা যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলে মোদী সরকারকে চাপে ফেলবে। কিন্তু আচমকাই আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা এসে যাওয়ায় সমস্ত প্রচারমাধ্যমের নজর সে দিকে ঘুরে যায়। এ বার নতুন করে আদানি-কাণ্ডের দিকে নজর ঘোরাতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে রাস্তায় নামছে কংগ্রেস। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস গোটা দেশে ইডি-র দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। দিল্লিতে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ হবে। তার আগে আজ কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা দেশের ২০টি শহরে সাংবাদিক বৈঠক করে নতুন করে জেপিসি-র দাবি তুলেছেন।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, হিন্ডেনবার্গের নতুন রিপোর্টের পরে জেপিসি-র দাবি উঠবে আঁচ করেই মোদী সরকার নির্দিষ্ট সময়ের এক দিন আগেই সংসদের অধিবেশনে ইতি টেনেছিল। কিন্তু তার পরেও কংগ্রেস আদানি কাণ্ডে জেপিসি-র দাবিতে আন্দোলনে নামবে ঠিক করে। সেই কারণেই বিজেপি আর জি করের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশেই সরব হয়েছে। তৃণমূলের পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটকে আর জি কর কাণ্ডে নীরবতা নিয়ে নিশানা করেছে। আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তার জবাবে পাল্টা মহারাষ্ট্রের ঘটনা নিয়ে বিজেপির দিকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমজনতা রাস্তায় নামা পর্যন্ত বদলাপুরে দুই শিশুর সঙ্গে অপরাধের ঘটনায় তাদের বিচারের জন্য প্রথম পদক্ষেপই করা হয়নি।”

কংগ্রেসের বক্তব্য, জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত বলেছিল, একমাত্র সেবি-ই এই বিষয়ে তদন্ত করতে পারে। আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সেবি-র প্রধান মাধবী পুরী বুচই যুক্ত। কগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের বক্তব্য, “এই পরিস্থিতিতে জেপিসি তদন্তই একমাত্র পথ। আদানি গোষ্ঠী দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি, কালো টাকা বিদেশে পাঠিয়ে আবার নিজের শেয়ারে লগ্নি করার অভিযোগ। তার সঙ্গে আবার শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান জড়িত। এই সব তথ্য কেন সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়নি? কেন মোদী সরকার জেপিসি তদন্তে ভয় পাচ্ছে?”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement